Header Ads

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে পানীয় জল নিয়ে সমান্তরাল ভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে হাফলং শহরের মানুষকে

 বিপ্লব দেব, হাফলং ২৯ মার্চঃ 
করোনা ভাইরাস কভিড ১৯ রোগের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে নয় ডিমা হাসাও জেলা ও। পাহাড়ি জেলাতে করোনার আতঙ্কের মধ্যে এবার সমান্তরাল ভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে পানীয় জলের জন্য। জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে হাফলং শহরে। সরকারের নির্দেশ রয়েছে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য। কিন্তু হাত ধোয়াতো দূরের কথা। 

 প্ৰতীকী ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
পানীয় জলের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। হাফলং শহরে এক হাজার লিটার জল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় তা ও আবার অপরিশোধিত জল। গত এক দেড় মাস থেকে হাফলং শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করেনি জন স্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। বৃষ্টির অভাবে জলের উৎস স্থল গুলি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জলের জন্য তীব্র হাহাকার শুরু হয়েছে হাফলং শহরে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে জলের সঙ্কট আরো তীব্র আকার ধারন করবে। এতে পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে হাফলং শহরের অবস্থা। এদিকে বিগত ১০ মাস থেকে বেতন না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন ডিমা হাসাও জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ৫৩৮ জন কর্মচারী। জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল লংমাইলাই জানিয়েছেন বিগত ১০ মাস থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ৫৩৮ জন কর্মচারী বেতনহীন। বিপুলবাবু বলেন করোনা ভাইরাস নিয়ে সমগ্র দেশ জুরে চলছে লড়াই। চলছে লক ডাউন কিন্তু এই লক ডাউনে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের বেতনহীন কর্মচারীদের অবস্থা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মচারীর বাড়িতে চাল ডাল অত্যবশকীয় সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিপুল লংমাইলাই বলেন গত ১৬ মার্চ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকপত্র প্রদান বেতন সমস্যার সমাধানের দাবি জানানোর পর ও এখন পর্যন্ত বেতন সমস্যার সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে এই সঙ্কটময় মুহুর্তে বেতনহীন কর্মচারীদের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিপুল লংমাইলাই। উল্লেখ্য রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বেতন প্রদানের জন্য অন লাইন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে ডিমা হাসাও জেলায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ৫৩৮ জন কর্মচারীর বেতন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে রিটেনশন না থাকার জন্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.