Header Ads

করোনা ছড়িয়েছে চিন ! বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে টেনে নিয়ে যেতে পারে চিনকে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 

নোভেল করোনার বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের জন্যে চিনকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনাকে
'চৈনিক ভাইরাস' বলার মধ্যে দিয়ে এই ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সভা চলাকালীন মার্কিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মাইক পম্পেও বেজিং ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত খবর গোপনের এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনেছেন। ফক্স নিউজের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনকে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্যে আইনত দায়ী করা হতে
পারে। 
 
 
ইজরায়েলের এক অ্যাটর্নি জেনারেল নিত্সানা দর্শন-লেইটনারের মতে, "সন্ত্রাসকে সমর্থন করা যেমন আইনত দণ্ডনীয়, ঠিক তেমনভাবেই সারা বিশ্বে করোনাকে মহামারীর রূপ দেওয়ার জন্যে চিনের আন্তর্জাতিক মহলে শাস্তি পাওয়া উচিত"। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনকে করোনা ভাইরাসের জন্ম দেওয়ার জন্য দোষারোপ করা না গেলেও অন্যান্য দেশে কোভিড-১৯-এর ব্যাপকতার জন্যে চিনকে দায়ী থাকতে হবে--কারণ সময় থাকতে চিন শক্ত হাতে সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি।
আমেরিকার সাউথ হ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, চিন যদি আরও ৩ সপ্তাহ আগে পদক্ষেপ নিত তাহলে করোনার প্রভাবকে ৯৫শতাংশ পর্যন্ত প্রশমিত করা যেতে পারতো।
সাউথ হ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, 'চিন সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার এক সপ্তাহ আগেও যদি চিন এগিয়ে আসত, তাহলে করোনার প্রভাব ৬৬শতাংশ পর্যন্ত কমানো যেত এবং দু'সপ্তাহ আগে হলে ৮৬শতাংশ পর্যন্ত প্রশমিত হত নোভেল করোনা। যদি সরকার তিন সপ্তাহ দেরি করতো, তাহলে মহামারীর রূপ হত আরও ১৮গুণ ভয়ংকর।'
এক্সিওসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১০ই ডিসেম্বর চিনে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে। আন্তর্জাতিক মহলে এই খবর পৌঁছানোর ক্ষেত্রে দেরির কারনে চিনকে ট্রাইব্যুনালে জবাবদিহি করতে হতে পারে। এইদিকে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২,৭৫,০০০। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১১,০০০জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.