Header Ads

বিদেশ থেকে আসা ফ্লাইট এখনও কেন নামছে কলকাতায় ! করোনা রুখতে সরব মমতা !!

 বিশ্বদব চট্টোপাধ্যায়
এখনও বিদেশের বিমান নামছে কলকাতায়। করোনা ত্রাসের মধ্যে যখন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তারপরও কেন বিমান নামছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, অবিলম্বে বিমান নামা বন্ধ হোক। কেননা বিদেশ থেকে আসা ফ্লাইট কত সামলানো সম্ভব? অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, সরব হলেন মমতা।

 এর পাশাপাশি তিনি পরামর্শ দেন, যাঁরা বিদেশ থেকে আসছেন, তাঁরা যেন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। এটা তাঁদের নিজের জন্যও দরকার, দরকার পরিবারে সদস্যদের জন্য, পরিজনদের জন্যও। আর নিজেদের দেশের জন্যও এই সচেতনতা জরুরি। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে করোনা মহামারী রূপ নেওয়া সত্ত্বেও এক শ্রেণির মানুষের কোনও হেলদোল নেই।
মুখ্যমন্ত্রী অভয় দিয়ে বলেন, যদি কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকেন ভয় পাবেন না। সঠিক চিকিৎসা, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই করোনা রুখে দেওয়া সম্ভব। তিনি এছাড়াও কিছু পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ বেসরকারি কর্মীদের হাজিরা ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হোক। এদিন মমতা জানান, ৬ মাসের খাদ্যশস্য একসঙ্গে তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। বিনামূল্যে তা দেওয়া হবে। একদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, খাদ্যশস্যের কোনও অভাব নেই। সীমান্ত সিল হলেও রাজ্যে খাদ্য মজুত রয়েছে। গুজবে কেউ কান দেবেন না। কোনও সমস্যা নেই !
শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা জানান, ৬ মাসের খাদ্যশস্য একসঙ্গে তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। বিনামূল্যে তা দেওয়া হবে। একদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, খাদ্যশস্যের কোনও অভাব নেই। সীমান্ত সিল হলেও রাজ্যে খাদ্য মজুত রয়েছে। গুজবে কেউ কান দেবেন না। কোনও সমস্যা নেই রাজ্যে।
উল্লেখ্য, করোনা আতঙ্কের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে রাজ্যের বাজার-দোকানপাট। তবে সেই গুজব উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কোনও দোকান-বাজার বন্ধ হবে না। এই প্রচার সম্পূর্ণ গুজব। রাজ্যে খাদ্য যথেষ্ঠ পরিমাণ মজুত রয়েছে। কেউ খাদ্যাভাব পাবেন না করোনার জেরে।
তিনি আগেই অভয় দেন, দোকাপাট খোলা থাকবে, বসবে বাজারও। কোনও চিন্তা নেই। আর দোকান-বাজার না খোলা থাকলে আমরা খাবো কী? মুখ্যমন্ত্রী জানান, সীমন্ত সিল থাকলেও আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য মজুত রয়েছে। কোনও ঘাটতি হবে না। এর পাশাপাশি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আইসিডিএসের মিড ডে মিলও চালু রাখতে। এদিন সেই তালিকায় যুক্ত হল বিনামূল্যে ছ'মাসের খাদ্যশস্য প্রদানের কথা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও বাড়িতে পৌঁছে যাবে মিড ডে মিল। সাধারণ গ্রাহকরা ছমাসের খাবার একসঙ্গে পাবেন। অযথা কেউ ভয় পাবেন না। আসুন আমরা সবাই মিলে লড়াই করি, রুখে দিই এই মহামারী। তিনি স্পষ্ট করে দেন, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তাই গুজব ছড়াবেন না। কেউ গুজবে কান দেবেন না। আমরা চাই সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.