Header Ads

কংগ্রেস মাত্র সাত বছরেই সাফ ! শোচনীয় পরাজয়ে ৬৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেল। শুধু আসন না পাওয়াই নয়, এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর দলের এতটাই শোচনীয় পরিস্থিতি যে প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশও তারা পেল না! এবার কংগ্রেসের পারফরম্যান্স গ্রাফ এতটাই নিচে যে তাদের ৬৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেত্রী শীলা দীক্ষিত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে ভোট হয়েছিল গত দু'বার। অর্থাৎ ২০১৩ ও ২০১৫ সালে আসন সংখ্যার নিরিখে হার মানলেও অস্তিত্ব সংকটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যা হল এবার।
কোনও নির্বাচনী কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোটের এক-ষষ্ঠ অংশ সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। মাত্র তিনজন জামানত বজায় রাখতে পেরেছেন। গান্ধীনগর থেকে অরবিন্দর সিং লাভলি, বাদলি থেকে দেবেন্দ্র যাদব এবং কস্তুরবা নগর থেকে অভিষেক দত্ত তাঁদের জামানত বাঁচাতে পেরেছিলেন।
বেশিরভাগ প্রার্থীই তাদের নিজ নির্বাচনী এলাকাতে প্রাপ্ত মোট ভোটের পাঁচ শতাংশেরও কম পেয়েছিলেন। দিল্লী কংগ্রেসের প্রধান সুভাষ চোপড়ার কন্যা শিবানী চোপড়া তাঁর কালকাজি কেন্দ্র থেকে জামানত বাঁচাতে পারেননি। দিল্লি বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার যোগানন্দ শাস্ত্রীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা সিংয়েরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান কীর্তি আজাদের স্ত্রী পুনম আজাদ খুব খারাপভাবে হেরেছেন। চতুর্থ স্থান পেয়েছেন তিনি।
তাঁর প্রাপ্ত ভোট মাত্র ২,৬০৪, যা শতাংশের বিচারে মাত্র ২.২৩ শতাংশ।
বিগত লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস ২২.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। দিল্লিতে কংগ্রেস ছিল দ্বিতীয় স্থানে। এই নির্বাচনে কংগ্রেস সাড়ে ২২ থেকে এক ধাক্কায় নেমে গেল সাড়ে চারে। এটা বিপর্যয় বলেই মনে করছে রাজনৈতি মহল। এই অবস্থায় দিল্লিতে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে দেখতে হবে বলে মনে করছে কংগ্রেস।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.