শঙ্কর দেবের জীবনাদর্শ নিয়ে আলোকপাত করলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী
অমল গুপ্ত : প্রেম, শান্তি, জ্ঞান, ভক্তিমার্গ দর্শন ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক
আধ্যাত্মিক জগতের পথ দেখানোর জন্য যুগপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেবের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ গোলাঘাট জেলার বোকাখাতের
কাছে কমারগাঁও দীহিঙ্গিয়া মহড়া পথার 89তম শংকরদেব মহাসঙ্ঘের বার্ষিক অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে রাজ্যপাল জগদীশ
মুখী শংকরদেবের জীবনাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী
সর্বানন্দ সনোয়াল শংকরদেবের আধ্যাত্মিক
জীবনের প্রতি আলোকপাত করে বলেন, শংকরদেবের জীবনাদর্শ
অনুধাবন করতে না পারলে বিশ্ব জয় করা যাবে না। তিনি বলেন, 26 সেপ্টেম্বর শংকরদেবের আবির্ভাব তিথি সরকারিভাবে
উদযাপন করা হবে। সরকারি ছুটি ও ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও বলেন, শংকরদেব বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার 300 বিঘা জমি দেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস
যাতে বিশ্বের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট হয়ে উঠে তার চেষ্টা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী শংকরদেব
সংঘের সৃষ্টিশীল কাজের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী 10 কোটি টাকার কর্পাস ফান্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা
করেন। বলেন, এই জমাকৃত টাকায় বছরে
80 লক্ষ টাকা সুদ পাওয়া
যাবে। মুখ্যমন্ত্রী নেপালি ভাষায় নামঘোষা উন্মোচন
করেন, হিন্দু-মুসলিম জাতি-ধর্ম
নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ ভক্তপ্রাণ মানুষের জমায়েত আজ ছিল দ্বিতীয় দিন। আজ কৃষিমন্ত্রী
অতুল বরা, জলসম্পদ মন্ত্রী কেশব
মহন্ত, বিধায়ক রমাকান্ত
দেওরি, ভবেন ভরালি,
সুরেশ চন্দ্র বরা,
বাবুল বরা প্রমুখ উপস্থিত
ছিলেন। সম্পাদক বাবুল বরা জানান, প্রায় 30 লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে, চলবে 8 তারিখ পর্যন্ত, দুবেলা নিরামিষ খাবারের জন্য 300টি উনুন, 600 জন রাঁধুনি রাখা হয়েছে। 400 কুইন্টাল চাল, 150 কুইন্টাল ডাল, 150 তিন সরষে তেল, 20 কুইন্টাল শাক-সব্জির ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, কাজিরঙা অঞ্চলে প্রতিবেশীদের
বলা হয়েছে প্রতি পরিবার 200টি করে বিভিন্ন ধরণের
পিঠা দেবে। তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জল খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই