Header Ads

এপ্রিলে রাজ্যসভার নির্বাচন, তৃণমূলের ৪ প্রার্থীর নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে !!

 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

মিনি বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপের মধ্যেই ভোট হতে চলেছে রাজ্যসভার। এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫ জনের নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ওই পাঁচটি আসনেই নির্বাচন হবে। যার মধ্যে ৪ টি আসনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। অপর আসনে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা হলে, সেই প্রার্থী জিততে পারেন। তবে তৃণমূলের ৪ জন প্রার্থী কারা কারা তা নিয়ে দলেই জল্পনা তুঙ্গে। যা নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এপ্রিলে সারা দেশে ৫৫ জন রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেই তালিকায় রয়েছেন মনীশ গুপ্ত, কেডি সিং, আহমেদ হাসান, যোগেন চৌধুরী এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও, দিন কয়েকের মধ্যে তা জারি হয়ে যেতে পারে।

ওপরের তালিকায় কেডি সিং, আহমেদ হাসান ফের সুযোগ পাচ্ছেন না বলেই জানা গিয়েছে। যোগেন চৌধুরীর জায়গাতেও নতুন মুখ আনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।


প্রাথমিক ভাবে তৃণমূলের অন্দরমহলে তিনটি রাজনৈতিক মুখ ঘোরা ফেরা করছে। তার মধ্যে শুরুতেই রয়েছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। এছাড়াও রয়েছেন, উত্তর মালদার প্রাক্তন সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং তৃণমূলের ডিজিটাল টিমের আহ্বায়ক দীপ্তাংশু চৌধুরী। আহমেদ হাসানের বিকল্প হিসেবে মৌসম বেনজির নূর রাজ্যসভায় যেতে পারেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় শিল্পী ও সাংস্কৃতি জগতের প্রতিনিধিদেরও দেখা যেতে পারে। যে কয়েকটি নাম ঘোরা ফেরা করছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী গৌতম ঘোষ এবং অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ফের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে মনীশ গুপ্তকে। ২০১৬-র নির্বাচনে হারার পরে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল। সেই অর্থে তিনি ৬ বছর রাজ্যসভায় কাটাতে পারেননি। অন্যদিকে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের কর্মসূচিতে পাওয়া গিয়েছে। তবে যেসব নামই চর্চায় থাকুক না কেন, তা নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিধানসভায় শক্তির নিরিখে তৃণমূল তাদের চার প্রার্থীকে নিশ্চিতভাবে জিতিয়ে আনতে পারবে। আর যদি বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা হয়, তাহলে তাদের প্রার্থী পঞ্চম আসনে জয়ী হতে পারেন। তবে ওই আসনে সিপিএম-এর নিজেদের প্রার্থী থাকবে, নাকি বাম-কংগ্রেসের মিলিত প্রার্থী থাকবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাম কংগ্রেস জোট হতে প্রার্থীর নাম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সোমেন মিত্র এবং সূর্যকান্ত মিশ্র।
পঞ্চম আসনটিতে সিপিএম-এর তিন নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যার প্রথমেই রয়েছেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। যাঁকে গতবারেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাম কংগ্রেসের জোট ভেস্তে কংগ্রেস প্রার্থী রাজ্যসভায় যান।
এছাড়া যে দুটি নাম উঠে আসছে, তাঁরা হলেন মহম্মদ সেলিম এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাসগুপ্ত। ২০১৪ সালে যখন সিপিএম-এর তরফে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হয়, সেই সময় তৎকালীন সিপিএম নেতা তথা বর্তমানে তৃণমূলের মন্ত্রিসভায় থাকা রেজ্জাক মোল্লা ঋতব্রতর নাম নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। কেন অসীম দাশগুপ্ত নন, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এবার মৃদুভাবেই অসীম দাসগুপ্তের নাম উঠে আসছে আলোচনায়।
আপাতত জল্পনায় উঠে এসেছে দুজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির নামও। এঁদের একজন হলেন, বিকাশ ভট্টাচার্য এবং অপরজন হলেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি।
সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যসভার নির্বাচনে দুবার বাম-কংগ্রেসের সমঝোতা ভেস্তে গিয়েছিল। একবার প্রদীপ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য আর অপর বার অভিষেক মনুসিংভির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন রবীন দেব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.