Header Ads

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ‘ক্যাবারে ক্যুইন’ মিস শেফালির


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ছয়ের দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী তথা থিয়েটার শিল্পী আরতি দাস ওরফে মিস শেফালি। বৃহস্পতিবার পানিহাটিতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 76 বছর। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই বৃদ্ধা অভিনেত্রী। উত্তর 24পরগণার পানিহাটি পুরসভার 33 নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন আরতি দাস। কিডনি জনিত রোগে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। দুটি কিডনিই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
আরতিদেবীর ভাইঝি অ্যালভিনা সাহা বলেন, তিনি আমার মা ছিলেন। আমি ভাইঝি হলেও তাঁর কাছেই মানুষ হয়েছি। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে জলও খেয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপর বিছানাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মামের মৃত্যু হয়।
আরতিদেবীর মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট প্রতিমা দে দ্রুত পানিহাটি পৌঁছান। তিনি বলেন, আরতিকে আমি সাজিয়ে তুললাম। আমি ছিলাম তাঁর একমাত্র সঙ্গী। যেখানে যত সিনেমা করেছেন, সেখানেই আমাকে নিয়ে গেছেন। তরুণ কুমার তাঁকে প্রথম থিয়েটারে সুযোগ দেন। উত্তমকুমার, অমিতাভ বচ্চন আরতির নাচের ভক্ত ছিলেন। আমার সামনে তাঁরা আরতির প্রশংসা করেছিলেন। আজ আমার 80 বছর বয়স হল। আমার আগেই আমার ক্যাবারে ক্যুইন চলে গেল।
আরতি দাস সিনেমা ও থিয়েটার জগতে মিস শেফালি নামে পরিচিত ছিলেন। বাংলা সিনেমায় প্রথম ক্যাবের ডান্সের সূচনা করেছিলেন তিনি। পাঁচের দশকে যখন বিদেশি সাদা চামড়ার মহিলারা ক্যাবারে ডান্স করতেন, সেই সময় আরতি দাস মিস শেফালি নামে আত্মপ্রকাশ করেন ক্যাবারে ডান্সের দুনিয়ায়। থিয়েটার, যাত্রা, পাড়ার নাচ, স্কুলের নাচের অনুষ্ঠানের পর হঠাৎ একদিন হারিয়ে যান মিস শেফালি। বাংলা ও হিন্দি বহু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী, পেন্নাম কলকাতা, দো আনজানে, রোদন ভরা বসন্ত, প্রভৃতি। বাংলা সিনেমার এই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার সহ গোটা সিনেমাজগত।
ভাই ও দিদির সংসারে থাকতেন আরতিদেবী। বিয়ে করেননি। বাংলা সিনেমা জগতে মিস শেফালির মৃত্যু একটা যুগের অবসান বলেই মনে করছেন তাঁর ভক্তরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.