Header Ads

বড়ো চুক্তি শান্তি আর অহিংসার পথকে দিশা দেখালো, বড়ো, অবড়ো উভয় জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, সার্বিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি




অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : বড়ো শান্তি চুক্তিকে অহিংসার জয়, মানবতার জয় বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অস্ত্র বর্জ্জন করে শান্তির পথ বেছে নেওয়ায় এন ডি এফ বি ক্যাডারদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি আপনারদের মানুষ, আপনারদের সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব আমাদের,  আমার উপর ভরসা রাখুন। 
আজ কোকড়াঝারের হাবরুবাড়িতে এক বিশাল জমায়েতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরকারের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বড়ো চুক্তির ফলে বড়ো সমস্যার সফল পরি সমাপ্তি ঘটেছে, অসমে শান্তি ও উন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, শুধু বড়ো জনগোষ্ঠীর নয় অন্যান্য জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকার কমিশন গঠন করেছে। তারাও উপকৃত হবে। রাজ্য কা বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের কথা উল্লেখ না করে বলেন, পাহাড় থেকে একজনও বিদেশি অসমে প্রবেশ করবে না। কেবলমাত্র অপ্রচার চলেছে,  দেশ বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। অসম চুক্তির 6 নম্বর ধারা বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, এই সম্পর্কে কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার উপযুক্ত বাবস্থা গ্রহণ করবে। 
প্রধানমন্ত্রী কোকড়াঝারের বিশাল জনসভা দেখে মন্তব্য করেন, তার রাজনৈতিক জীবনে এত বিশাল রাজনৈতিক সমাবেশ কোনও দিন দেখেননি। প্রধানমন্ত্রী ভাষণের শুরুতে বড়ো ভাষাতে লক্ষ লক্ষ দর্শককে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি জনগণকে শংকরদেবের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, অসম শ্রীমন্ত শংকরদেবের সংস্কার নিয়ে বেঁচে আছে। শ্রীমন্ত শংকরদব বলেছিলেন, যে ব্যক্তি নিরন্তর পূণ্য উপার্জন করেছেন সেই ব্যক্তি ভারত দেশে জন্ম নেন। তিনি আরও বলেন, সামান্য কর্মকর্তা হিসাবে তিনি অসমে এক লম্বা সফর পার করেছেন, ছোট ছোট এলাকায় তিনি বহুবার যাতায়াত করেছেন, সে সময় যাতায়াতকালে সঙ্গীসাথীরা তাকে ভারতরত্ন ভূপেন হাজরিকার লোকপ্রিয় সংগীতগুলি শুনাতেন। তিনি এটাও বেলন, ভূপেন হাজরিকার সঙ্গে তার এক বিশেষ সম্পর্কও রয়েছে। 'আমার জন্ম গুজরাটে হয়েছে, আর সেই হিসাবে ভারতরত্ন ভূপেন হাজরিকা আমার গুজরাটের জামাই। এটার জন্যও আমি গর্বিত। আর তাঁর ছেলে ও বাচ্চারা এখনও অসমিয়ার সঙ্গে গুজরাটিও বলেন।শেষে তাতপর্যপূর্ণভাবে মহাত্মা গান্ধী অমর রহে বলে স্লোগান দেন। প্রথমে নাম করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ করে হুমকির সুরে বলেন,   আমাকে ডান্ডা মারার কথা বলা হচ্ছে, আজকের জমায়েত লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার পাশে আছে, যতই ডান্ডা মারো কিছুই করতে পারবে না। আজকের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেনক্যাডাররা হিংস পরিহার করেছে, আর মা-মেয়ে, ভাই-বোনের রক্ত ঝরবে না। শান্তির অধ্যায়ের সূচনা হলো। অসম তথা উত্তরপুর্বে ভয়ে মানুষ আসতো না, এখন পর্যটকদের কেন্দ্র স্থলে পরিণত হয়েছে। বিগত সরকারের সময় কোনো প্রকল্প সম্পূৰ্ণ হয়নি। তার সরকার উত্তর পূর্বাঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। 
8টি রাজ্য যেখানে বাজেট ছিল মাত্র 90 হাজার টাকা, এখন 3 লাখ টাকা, এই অঞ্চলে সার্বিক বিকাশে শুধু গ্যাস লাইন প্রকল্পের জন্য 9 হাজার কোটি টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, অসমের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াস, তার তুলনা নেই। অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ভাষণে বলেন, বড়ো জনগোষ্ঠীর নেতারা শান্তির পথ বেছে নিলেন, আলফার আলোচণা বিরোধীদের শান্তির পথে এসে আলোচনার টেবিলে বসা উচিত। বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারী প্রায় ঘোষণার সুরে বললেন, 2021 সালে আবার বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, তারাও বিটিসি সরকার গড়বে। রাজ্যপাল জগদীশ মুখী, মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্যরা গুয়াহাটি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন, কোকরাঝাড়ের নির্দল সাংসদ নব সরনিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জানান, নবগঠিত বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়নে প্রায় 70 ভাগ মানুষ অবড়ো, তাদের সমস্যা নিয়ে আগামী 12 ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার বৈঠকে বসবে, তারপর তারা দিল্লিতে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.