Header Ads

ভারতীয়দের জন্য কালো দিবস! আজকের দিনেই ভারত হারিয়েছিল ৪০ জন জওয়ান !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 

দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার, তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারী  ২০১৯ অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে এবং সময় বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কে প্রায় ২৫০০ কর্মী নিয়ে ৭৮ টি বাসে সিআরপিএফের কনভয়টি যাচ্ছিল। ঠিক সাধারণ দিনের মতোই, সিআরপিএফ কনভয়টি সেদিন চলেছিল। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কনভয়টিতে কর্মরত সমস্ত নিরাপত্তাকর্মী সতর্কও ছিলেন। সেদিন রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যখন সিআরপিএফের কনভয় পুলওয়ামায় পৌঁছেছিল, রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ি CRPF দের কনভয়ের সাথে চলমান গাড়িতে ধাক্কা মারে।

সামনে থেকে আসা এসইউভিটি কনভয়টির সাথে সংঘর্ষের সাথে সাথে বিস্ফোরণ ঘটে। সিআরপিএফ জওয়ানরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমনকিছু ঘটে যায় যা ভারতের কাছে সেই দিনটি কালো দিনে পরিণত হয়। বিস্ফোরণের পরেও আতঙ্কবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে, ততক্ষণে CRPF ও পাল্টা গুলি চালায়। CRPF এর পাল্টা আক্রমণ দেখে আতঙ্কবাদীরা পালায়।
বিস্ফোরনবাহী গাড়ির সাথে CRPF এর গাড়ির সংঘর্ষ এতটাই জোরদার হয়েছিল যে ৪০ জন জওয়ান নিহত হন। ওই দিন দেশের জওয়ানদের রক্ত মাংস সড়কজুড়ে ছড়িয়ে ছিল। যা সমস্ত ভারতবাসীকে শোকগ্রস্ত হতে বাধ্য করেছিল। বহু সেনা আহত অবস্থাতেও ছিলেন যাদেরকে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন যা আগে ভালোবাসা দিবস হিসেব পালিত হতো তা ভারতীয়দের কাছে অন্ধকারময় কান্নার দিনে পরিণত হয়।
পুলওয়ামা হামলার মাত্র ১২ দিন পরে, ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী সংগঠন জাইশ-ই-মোহাম্মদ এর ঘাঁটিগুলিতে বিমান হামলা (এয়ার স্ট্রাইক) চালায়। এই বিমান হামলায় ভারতীয় বিমানবাহিনী ব্যাপক হারে বোমা বিস্ফোরণ করে, এর ফলে সন্ত্রাসীদের আস্তানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ৩০০ জন সন্ত্রাসীকে উড়িয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.