Header Ads

সংখ্যালঘু হিন্দুরা ফের আক্রান্ত বাংলাদেশে, পুজোর আগেই সরস্বতীর মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা




নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, ঢাকা : বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হল সংখ্যালঘু হিন্দুরা। পুজোর আগেই সরস্বতী মায়ের মূর্তি ভাঙচুর। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে। যদিও এই ঘটনার পরে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ায় স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের সহযোগিতায় পঞ্চমী তিথি শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুজোর আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
পূজার আয়োজক চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জয় রায় বলেন, বুধবার রাতে কলেজের নিচুতলার একটি কক্ষে পুজোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সকলেই বাড়ি চলে যায়। সকালে তিথি লগ্নে পূজা হওয়ার কথা থাকলেও খবর পাই, আমাদের সব আয়োজন নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পরে কলেজে এসে দেখি সরস্বতী প্রতিমা ভাঙা, সাজানো প্যান্ডেল লণ্ডভণ্ড। তিনি আরও বলেন, এসব দেখে সহকর্মীদের ফোন করি। তারা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে দ্রুত ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন এবং এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে সকলেই। এটি আমাদের অস্তিত্বের ও ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রুতি সাহা বলেন, কলেজে আমরা অনেক আশা নিয়ে সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছিলাম। কিন্ত পূজার আগে প্রতিমা ও প্যান্ডেল ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারছি না। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় পূজা করেছি তবে তিথি লগ্ন শেষ হওয়ার পর। এটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। আমরা এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর আলী বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত। খবর পাওয়ার পরপর পুলিশ, স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই। পাশাপাশি তাত্‍ক্ষণিক নতুন প্রতিমা এনে পূজার ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে, চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার বলেন, 'প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পুজো শেষে এই ব্যপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.