Header Ads

জেএনইউ-র ঘটনায় ছাত্র সংসদ সভাপতি ঐশী ঘোষ সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র ও আক্রান্ত শিক্ষকদের অভিযোগর তির বিজেপি’র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দিকে। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাঙচুর ও ঝামেলা করার দায়ে পুলিশ এফআইআর করল বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ ছাড়া আরও ১৯ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। 

হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্প্রতি সরব হয়েছিল জেএনইউ। সেই রেশেই রবিবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয় জেএনইউএর বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। সেখানেই শুরু হয় অতর্কিত হামলা।
ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে ডাকা হলে ক্যাম্পাসে আসে প্রায় ৭০০ পুলিশকর্মী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাড়ে সাতটা নাগাদ। যদিও তাণ্ডব তখনও চলছে। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সামনে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙা হলেও পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। শুধু মাঝে মাঝে একজন দুজনকে পুলিশ আটকাচ্ছিল। তবে তারা কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে ঘটনায় জখম হয়ে এইমস-এ ভর্তি হয় ৩৪ জন ছাত্র ও শিক্ষক। তাদের মধ্য ঐশী ঘোষের মাথায় ১৬টি সেলাই পড়েছে। তবে অশান্তি ছড়ানোর দায়ে তাঁরই বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ দায়ের করল দিল্লি পুলিশ।
হামলাকারীরা স্লোগান তুলে বলছিল, 'না মাওবাদ, না নক্সালবাদ। সবার উপরে রাষ্ট্রবাদ!' এমন কী হামলার সময়ে রাস্তার সব আলো বন্ধ ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এসব চলতে থাকার পর শেষ পর্যন্ত ১১টা নাগাদ ফের রাস্তার আলো জ্বেলে দেওয়া হয়। পুলিশ জেএনইউ-র গেটের বাইরে অবস্থান নেয়। তবে ততক্ষণে যা তাণ্ডব চালানোর তা হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ভূমিকার সমালোচনায় ছাত্ররা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ বিবৃতি দিয়ে বলে, 'এই হামলা চালায় এবিভিপি-র গুন্ডারা। তাদের নিশানায় সাধারণ ছাত্র ছাড়া শিক্ষকরাও ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠি, রড, নিয়ে ঘুরে তাণ্ডব চালিয়েছে এবিভিপি-র মুখোশধারীরা। এই তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে পুলিশও। তারা সংঘ সমর্থক প্রফেসরদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবং তাণ্ডব করতে গুন্ডাদের সাহায্য করেছে।'
যদিও এবিভিপি পাল্টা দাবি করে যে এই ঘটনা বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ঘটিয়েছে। তাদের বক্তব্য, নক্সালপন্থীরা হোস্টেলে ঢুকে ভাংচুর চালিয়েছে, এবং ছাত্রছাত্রীদের লোহার রড দিয়ে আঘাত করেছে। এবিভিপির সভাপতি নিধি ত্রিপাঠি এই বিষয়ে বিব়তি দিয়ে এএফএসআই, এআইসা ও ডিএসএফ-এর ঘাড়ে দোষ চাপান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.