Header Ads

সৃর্য্যের মত জ্বলে উঠোঃ পড়ুয়াদের প্রতি সর্বা



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : সূর্য্যের মত উজ্জ্বল হও। তবেই আসবে ইপ্সিত সফলতা। গড়তে পারবে নুতন সমাজ। বদরপুর নবীন চন্দ্র কলেজের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে ছাত্র ছাত্রীদের এই বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। 
কথা ছিল ঠিক দুপুর দুটোয় সভা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এলেন দু ঘন্টা দেরিতে। বিকেল চারটায়। গত পঞ্চাশ বছরে এই প্রথম কোন মুখ্যমন্ত্রী বদরপুরে এ ধরনের কোন সভায় এলেন ও বক্তব্য রাখলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে তাই উৎসাহ ছিল প্রচুর। কলেজ প্রাঙ্গণ ছাড়াও বাইরে জাতীয় সড়কে উপচে পড়ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আগাগোড়া শিক্ষার প্রয়োজনিয়তা ও সমাজ গড়তে তার ভূমিকার উপর  জোর দেন। ভাল রেজাল্ট করতে হলে রোজ অন্তত দশ ঘন্টা লেখাপড়া করতে হবে। তবেই আসবে সাফল্য। তিনি পরিশ্রমের উদাহরণ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ টেনে এনে কীভাবে রোজ টানা কুড়ি  ঘন্টা পরিশ্রম করে দেশ ও দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারও উল্লেখ করেন। বদরপুর তথা  বরাক উপত্যকার ছাত্র ছাত্রীরা যদি সময়ের সদ্ব্যবহার করে তবে শুধু নিজেদের ভবিষ্যতই নয় গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে এবং সামনে থেকে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ মর্তুজা হোসেনের কলেজের উন্নতি কল্পে  নিরলশ পরিশ্রমের ভূয়সি প্রশংসা করেন। উল্লখ্য অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত আট বছরে একদিনও কোন ধরনের ছুটি নেননি।এমন কি রবিবারও কাজ করে গেছেন। তাকে বাকি অধ্যাপকরাও সমান হারে সাহায্য করে গেছেন। এদের সম্মিলিত চেষ্টাতেই নবীন চন্দ্র কলেজ শুধু পরিকাঠামোর দিক দিয়েই নয় রেজাল্টের ক্ষেত্রেও গোটা রাজ্যে এক উল্লেখ যোগ্য স্থান দখল করতে পেরেছে। শুধু স্ট্যান্ড করা নয় বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে সেরা গ্র‍্যাজুয়েট ছাত্র নিয়মিত উপহার দিতে শুরু করেছে এই কলেজ । এই মুহুর্তে বিজ্ঞান বিভাগে নন  প্রভিনশিয়েলাইজড স্তরে রাজ্য সেরা ল্যাব এই কলেজেই আছে। এছাড়া ইকোলজিতে ওনার্স গোটা উত্তর পূর্বে এক মাত্র এই কলেজেই আছে।  স্বচ্ছতার দিকেও এই কলেজ রাজ্য সেরা। খেলা ধুলাতেও এই কলেজের ছাত্ররা নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। সমস্ত তথ্য জেনে উচ্ছসিত মুখ্যমন্ত্রী  মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কলেজের উন্নতির জন্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন। এ ছাড়া কলেজের পাশে এএসটিসির ফেলে রাখা জমির অংশ কলেজকে দেওয়ার যে দাবি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে তা খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, পাশের এই ফেলে রাখা জমির অংশটি কলেজকে দিয়ে দিলে ছাত্র ছাত্রীদের অনেক সুবিধা সহ কলেজের পরিকাঠামো আরও অনেক উন্নত হবে। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন মোট তেইশ মিনিট। আগাগোড়া বিষয় লেখা পড়া ও ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়েই সীমাবদ্ধ ছিল। এর বাইরে একটা শব্দও বলেননি। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও। এদিন সাংসদ রাজদীপ রায়, কৃপানাথ মালাহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, অমরচাঁদ জৈন, দিলীপ পাল, বিজয় মালাকার, বিশ্বরুপ ভট্টাচার্য, গৌতম রায়, আলগাপুরের বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, বদরপুরের জামাল উদ্দিন আহমদ, প্রাক্তন মন্ত্রী আবু সালেহ নজমুদ্দিন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভার পৌরহিত্য করেন  সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি অমিয় কুমার পাল। সভা পরিচালনা করেন কমিটির কার্যকরী সভাপতি অরুন কুমার সেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.