Header Ads

অসমে ২৬ হাজার গ্রামের মধ্যে ৯ হাজার গ্রাম, ৬ টি জেলাতে এন আর সি র চিহ্ন নেই, কিসের উপর ভিত্তি করে ১৯৫১ হবে?



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকিত্ব সংশোধনী আইন টির রুল ফ্রেম করার আগেই  গতকাল আইনটি বলবৎ করেন, আগামী ২২ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টে শুনানির আগেই তা বলবৎ হল। আর দুদিন পরেই অসমের পরমপরাগত ভোগালি বিহু উৎসব, সোমবার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনএ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল বিশেষ কিছু ঘোষণা করতে পারেন, তার আগে মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ র সঙ্গে রুদ্ধ দ্বার বৈঠক করে ফিরেছেন। এই  প্রেক্ষিতে রাজ্যে কাবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে , পরিস্থিতি আরো অগ্নিগর্ভ হয়েছে। আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য, সভাপতি দীপাংক নাথ, সাধারণ সম্পাদক লুরিন জ্যোতি গগই, জাতীয়তাবাদী যুবছাত্র পরিষদের পলাশ চাকমা প্রমুখ আজ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, অসমের স্বাভিমান, অসমের প্রতিবাদী কণ্ঠ কে গুরুত্ব দিল না কেন্দ্র। হটাৎ ই জাতিধ্বংশী আইনটি বলবৎ করে বিশ্বাসঘাতকতা করল। মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী অসমীয়া ভাষা কৃষ্টি সংরক্ষণ, জমির অধিকার, বিধানসভায় ও লোকসভায় আসন  সংরক্ষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা সংশোধন করে ভিত্তি বছর কে ১৯৫১ সাল করতে চাইছেন বলে বিভিন্ন সময় ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি বিপ্লব কুমার শর্মা ও তার প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করতে পারেন। কিন্তু সব চেয়ে প্রশ্ন ১৯৫১ সালের এন আর সি অক্ষুন্ন আছে কি ? বিধানসভায় সরকার ৪৫৫ পাতার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন রাজ্যে ২৬ হাজার ৪০৯ টি গ্রামের মধ্যে ৯ হাজার ৩৫৩ গ্রামের নথিপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ৬ টি জেলাতে ১৯৫১ সালের নথি পত্রের কোনো চিহ্ন নেই। কাছাড়, সিবসাগর, ডিমা হাসাও , কার্বিযাঙলং,  চিরাং ও বাক্শা জেলাতে নেই। তিনসুকিয়া, লাখিমপুর, নলবাড়ী, উদালগুড়ি, বরপেটা প্রভৃতি জেলাতে প্রায় আধা নথিপত্র আছে। কেবল ১৯৭১ সাল থেকে এন আর সি তালিকা ডিজিটাল করা হয়েছে। অসমে কোনো জেলাতে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মহাফেজখানা বা আর্কাইভ গড়ে উঠেনি, সব জেলার সরকারি নথি পত্র উই পোকা তে কেটেছে, বন্যা, আগুনে পুড়ে গেলেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়নি। দিসপুর জনতা ভবন থেকে অসম বিধানসভা গ্রন্থাগার যেখানেই যান মূল্যবান বই ও সরকারি নথি পত্র র দুরাবস্থা দেখলে বোঝা যাবে কংগ্রেস, বিজেপি অগপ সরকারের অবহেলা কি পর্য্যার্যের হতে পারে। তাই   গ্রাম অসমের গ্রামীণ গ্রন্থা গার, এন আর সি ও অন্যান্য নথির কি অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়। ২০১২ সালে এই আই ইউ ডি এফ এর বিধায়ক আব্দুর রহিম খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে সরকার ৪৫৫ পাতার প্রতিবেদন এ ১৯৫১ সালের এন আর সি তালিকার দুরাবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। ৩৫ বছর আগে অসমে বিদেশি বিতরণ আন্দোলন হয়েছিল, অসম বহু বছর পিছিয়ে যায়। অসমীয়া বাঙলি সম্পর্কে স্বাভাবিকতা এসেছিল, আবার ৩৫ বছর সেই একই ইস্যু বাংলাদেশি, আর বাঙলি। অসম আবার পিছনে ছুটছে, ভিত্তি বছর ১৯৫১ সাল হলে, কি হবে? কারা অসমে থাকবে ?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.