Header Ads

চলো বুলাবা আয়া হে, মাতা নে বুলায়া হে.... বৈষ্ণোদেবী দর্শনের জন্য পুণ্য ধাম যাত্রা করলেন প্রবীণরা



দেবযানী, গুয়াহাটি
 ত্রিকুট পর্বতে গুহায় মাতা বৈষ্ণোদেবী বিরাজিত। এক রহস্যময় পজেটিভ এনার্জি দিয়ে।ঘেরা মায়ের মন্দির ভারতের এক প্রধান তীর্থস্থান । প্রত্যেক বছর হাজারো তীর্থযাত্রী মার দর্শনের জন্য  মন্দিরে পৌঁছান ।মা বৈষ্ণ দেবী দর্শন করার জন্য রবিবার কামাখ্যা জংশন থেকে ৪৬ জন প্রবীণ তীর্থযাত্রীরা পুণ্যধাম যাত্রা শুরু করেন।  এরা সবাই আসামের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে। এদের মধ্যে ২৬ জন মহিলা ও ৫ জন দম্পতি রয়েছেন।  এর জন্য  গত নভেম্বর মাসে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল। এবং এরপরে লটারির মাধ্যমে ৪৬ জনকে বেছে নেওয়া হয়। রবিবার কামাখ্যা জংশন থেকে ১০,৪৫ এ বৈষ্ণব দেবীর উদ্দেশ্যে পুণ্য ধাম যাত্রার শুরু হয়। এই পুণ্য ধাম যাত্রার শুভরাম্ভ  করেন অসম উন্নয়ন নিগমের অধ্যক্ষ জয়ন্ত মাল্ল বড়ুয়া ।শনিবারে সমস্ত অসমের বিভিন্ন স্থান সদিয়া থেকে ধুবডি বরাক থেকে ব্রহ্মপুত্র বিভিন্ন জায়গা থেকে তীর্থ যাত্রীরা গুয়াহাটি এসে পৌঁছেছে।রবিবার এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। 



উল্লেখ্য যে ২০১৭ সন থেকে অসম সরকারের প্রকল্প পুণ্যধাম যাত্রা শুরু করা হয়েছিল। এ বছরের এই যাত্রার তৃতীয় বর্ষ। এ প্রসঙ্গে জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া বলেন  যে সমস্ত লোকেরা আর্থিকভাবে দুর্বল এবং যাদের তীর্থস্থান ভ্রমণ করার ইচ্ছা মনে রয়েছে তারা এই যাত্রা দ্বারা নিজের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন বিগত তিন বছর ধরে অনেক হাজার তীর্থযাত্রীরা পুণ্য ধাম যাত্রার দ্বারা ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থান ভ্রমণ করানো হয়েছে । এদিন ৪৬ জন তীর্থযাত্রীর গলাতে আসামের সম্মানের প্রতীক স্বরূপ গামছা দেওয়া হয় ।সাথে ব্যাগ আই কার্ড এবং হাত খরচের জন্য কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছে।  থ্রি টায়ারএসি কোচে এই তীর্থ যাত্রীদের সাথে ডক্টর গাইড এবং পর্যটন বিভাগ লোকেরাও থাকবেন ।এ বছরের যাত্রা বৈষ্ণোদেবী থেকে  শুরু করা হয়েছে এবং  এবছরেই  মথুরা,-বৃন্দাবন ,গোকুল,পুরী, অমৃতসর,আজমের ,গয়া, রাচী তে ভ্রমণ করানো হবে । এই তীর্থ যাত্রার দ্বারা আরো অনেক তীর্থযাত্রীরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে পরিক্রমা করতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.