Header Ads

অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও অপ্রোয়জনীয়, সিএএ নিয়ে মন্তব্য বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

সিএএ ও এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েও এটি অপ্রয়োজনীয় বলে আখ্যা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দুবাইতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানান তিনি। তিনি বলেন, 'আমরা জানি না ভারত সরকারের এই আইন আনার কী প্রয়োজন ছিল? এটার কোনও দরকারই ছিল না।' 

নতুন নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের শর্ত, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যে লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সিএএ-র বিষয়ে মুখ খোলেন কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সিএএ-র বিষয়ে জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এই বিষয়ে চিন্তিত রয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর ভারত সফরও বাতিল করেন তিনি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভারত সরকারকে আগেও তোপ দেগেছিলেন। রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পরপরই অমিত শাহকে কটাক্ষ কেরছিলেন বাংলাদেশের এই মন্ত্রী।
শাহকে তোপ দেগে বাংলাদেশি মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের মতো
শান্ত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরায়ণ দেশ খুব কম আছে। যদি
উনি (অমিত শাহ) বাংলাদেশে কয়েক মাস থাকতেন, তবে জানতেন।'
প্রসঙ্গত, ভারতে নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এতদিনের মৈত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করেছে। বাংলাদেশি অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। অসমে প্রতিবাদীদের হাতে আক্রান্ত হন বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার পর্যন্ত। তারপরই বাংলাদেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জলবন্টণ আলোচনাও বাতিল করে দিয়েছিল বাংলাদেশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.