ঐতিহাসিক দীপর বিলে উরুকার আগে পরম্পরাগত ভাবে পালন করা হল " সামুহিক মাছ ধরা উৎসব"
দেবযানী, গুয়াহাটি।
ভোগালী বিহুর উরুকার আগে ঐতিহাসিক দিপর বিলে জানুয়ারি মাসের প্রথম রবিবারের দিনটি পালন করা হল সামুহিক মাছ ধরা উৎসব । প্রায় এক হাজারের বেশি জেলেরা একসাথে বিলে নেমে মাছ ধরে ।আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের জেলেরা বিলে মাছ ধরতে এসেছিল।প্রায় ৩০০র বেশি নৌকাএদিন বিলে নামে। প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই মাছ মারার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।এই উৎসব উপলক্ষে গত একমাস ধরে জেলেরা নৌকার রং করা থেকে আরম্ভ করে নৌকা মেরামতি করা বিভিন্ন মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি করা ,জাল তৈরি করা ইত্যাদি কাজ শেষ করে। এই ৩০০ টি নৌকাতে ই ২-৩ জন করে জেলে ছিল ।উল্লেখনীয় যে দীপর বিলের আশেপাশে গ্রামের অনেক জেলেরাই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ ধরা
উৎসবের জন্য এই বিলের আশেপাশে গ্রামের জেলেরা প্রায় আড়াই কুইন্টল রৌ, চিতল,কতলা মাছের পোনা ছাড়ে। সেই পোনাগুলি এতদিনে বড় হয়ে গেছে। এই ভাবেই চলে আসছে সামুহিক মাছ ধরা পর্ব। উল্লেখ্য যে মাছের পোনা বিলে ছেড়ে দেবার পর প্রায় ৮ মাস এই বিলে কেউ মাছ ধরে নি ।পরম্পরাগত ভাবে নগরের বিভিন্ন মাছ বাজারে এই মাছ বিক্রি করা হয়।এই বিলের কিনারে এদিন যারা মাছ কিনতে আসেন জেলেরা তাদের অনুমানের উপর ভিত্তি করে ওজন করে মাছ বিক্রি করে। মাছ ওজন করার কোনো সরঞ্জাম এখানে চলে না ।যার ফলে অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে বিলের পাড়ে তাজা মাছ কেনার জন্য।সবার হাতেই মাছ আর মাছ। ভোগালি বিহুর আগে এভাবে মাছ ধরা উৎসব সবার মনেই এক উৎসাহের সৃষ্টি করে।
কিন্তু গ্রাহকদের মতে এবার আগের থেকে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে মাছের দাম ।যাই হোক না কেন বেশি দাম দিয়ে হলেও অনেকেই কিনলেন দীপর বিলের তাজা মাছ। এই মাছের স্বাদই আলাদা। পরিবারের সকলে মিলে এক সাথে খাবার আনন্দের জন্য দামের কথা সেদিন কেউ চিন্তা করেনি। প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও এদিন বিলের পাড়ে সমাগম হয় অসংখ্য লোকের।











কোন মন্তব্য নেই