Header Ads

বিজেপিকে সূচাগ্র মেদিনীও ছাড়বেন না মমতা! তৃণমূলের মহিলারা যাবেন দোরে দোরে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

বিজেপিকে সূচাগ্র মেদিনীও দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিজেপির সেভাবে ময়দানে নামার আগেই তৃণমূলও সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিয়েছে। এবার পুরভোটের প্রচারে এই এনআরসি-সিএএ'ই তৃণমূলের মূল হাতিয়ার। সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড পৌঁচে যাচ্ছে আমজনতার দরবারে। 

তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিএএ-এনআরসির ভয়ঙ্করতা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুথে বুথে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কর্মশালা। প্রশিক্ষণ শিবিরে ক্লাস নিচ্ছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীরা। এই ইস্যুতে বিজেপিকে প্যাঁচে ফেলতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস।
দিদিকে বলো কর্মসূচির মতোই লোকসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূল জোর দিয়েছে জনসংযোগকে। দিদিকে বলো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূল প্রচারে ঝড় তুলেছিল। সেই ধারা বজায় রাখতে এবার এনআরসি-সিএএ বিরোধিতায় বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা ব্রিগেড।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের ক্লাসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কী বলতে হবে-- আমরা সবাই দেশের নাগরিক। আমিও নাগরিক, আপনিও নাগরিক। তাই নাগরিকত্বের নয়া পরিচয় আবার কী দেবে বিজেপি। সবার আগে দেখে নিতে হবে ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কি না। আর বোঝাতে হবে সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগুরু হিন্দুদের জন্যও এই আইন বিপজ্জনক।
এভাবেই প্রশিক্ষিত নেতা-কর্মীরা পৌঁছে যাবেন সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায়। সবাইকে বিজেপি সম্পর্কে সাবধনা করে দেওয়া হবে। তারা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা তুলে ধরা হবে অসমের চিত্র দেখিয়ে। অসমে হিন্দুরা কতটা কষ্টে রয়েছে, তা দেখানো হবে এবং হিন্দুরাই যে বেশি ভুক্তভোগী তাও জানানো হবে।
অন্যদিকে বাংলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জী, জাতীয় নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টারের কোনটাই হতে দেবেন না বলে প্রথম থেকেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলার
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের তরফে আবেদন করার পর দ্বিতীয়বার দেশের সবকটি
রাজ্য ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে। সেই তালিকায় নেই শুধুমাত্র বাংলা ও কেরলের নাম। এই দুই রাজ্য ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার তৈরি করা থেকে সরে এসেছে।
আগামী ১৭ তারিখ এনপিআর নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের তরফে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি সেই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে ফের একবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জী নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলন করবেন বলে পথে নেমেছেন। কোনওভাবেই রাজ্যে এনআরসি বা এনপিআর করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এলে তাঁর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে বিবেচনা করে তা ফিরিয়ে নিতে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তারপরে এদিন ফের একবার নিজের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর নিয়ে কড়া অবস্থানেই রইলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.