Header Ads

অসিত রায় চলমান এনসাইক্লোপেডিয়া, উজান অসমের আধুনিক সামাজিক ইতিহাস




সুশান্ত করঃ অসিত রায় চলমান এনসাইক্লোপেডিয়া। মুখে মুখে বলে যেতে পারতেন উজান অসমের আধুনিক সামাজিক ইতিহাস। দীর্ঘদিন ধরে সলিল চৌধুরীর সঙ্গীত নিয়ে গবেষণা করে প্রদেশে-দেশের নানা জায়গাতে বক্তৃতা করেছেন। লিখেছেন। সম্মানিত হয়েছেন। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন, উজান সাহিত্য গোষ্ঠী, ডিব্রুগড় ইণ্ডিয়া ক্লাব সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। সদালাপী, অত্যন্ত মিশুকে হাসিখুশি মানুষটি আজ দীর্ঘরোগভোগের পরে মারা গেলেন গুয়াহাটিতে। বিপত্নিক অসিতদা তাঁর শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন ডিব্রুগড়ের বাড়িতে। দুই মেয়ে গুয়াহাটিতে থাকেন। বড় মেয়ের দিকের নাতনির অন্নপ্রাসনে গিয়েছিলেন পুজোর আগে। হঠাৎ পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। বাড়ি হাসপাতাল করে করেই এদ্দিন ছিলেন। তাঁর যত্ন নিতে গুয়াহাটি গিয়েছিলেন শাশুড়ি মা। তিনিও সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে নভেম্বরে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। ফোনেও কেউ পাচ্ছিলেন না। জানতাম অসুস্থ , ডিব্রুগড়ে নেই। কই আছেন, কেমন আছেন জানবার কোনো উপায় ছিল না। অগত্যা আমি গেল ১০ জানুয়ারি সস্ত্রিক তাঁর ডিব্রুগড় বাড়িতে গিয়ে পাশের বাড়িতে থাকেন তাঁর শ্যালিকা---তাঁর থেকে জানলাম এই দুর্গতির কথা। ভেবেছিলাম, এই রবিবারে আমার গুয়াহাটি যাবার কথা। দেখা করে খবর নিয়ে আসব, তা আর হলো না। এই কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক সঞ্জীব নন্দি ফোনে জানালেন- তাঁকে আর বাঁচানো যায় নি। মেয়েদের এবং পরিবারের অন্যদের দীর্ঘ ছমাসের লড়াই ব্যর্থ করে দিয়ে অসিত দা চলে গেলেন। কত বা বয়স হয়েছে? ৬২/৬৩ হবে। তাঁকে নিয়ে তো আমাদের আশা বহু কিছু ছিল। করবার বহু কিছু ছিল। এবারেও উজান পত্রিকাতে সলিলের সঙ্গীতে বিদেশী প্রভাব নিয়ে তাঁর একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সম্ভবত শেষ লেখা। বহুদিন বলছিলাম, তাড়াতাড়ি এইসব বই করুন। সে আর হলো না, এখন আমাদেরই কিছু করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.