প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে পরে বোড়োরা কেন্দ্রীয় অঞ্চল বা সমপর্যায়ের সুবিধা পেতে চলেছে, এন ডি এফ বি তার শরিক হবে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : বরাকের বিশিষ্ট
বাঙালি নেতা প্রয়াত পরিতোষ পাল চৌধুরী বহু বছর বরাককে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল
হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি নিম্ন অসমে বি.পি.এফ নেতা হাগ্রামা মহিলরি, আবসু এবং এন.ডি.এফ.বি.-র তিন গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন
টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল বা সমপর্যায়ের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল পেতে চলেছে। 1993 সালে আবসু
সভাপতি উপেন ব্রহ্ম, প্রেম সিং ব্রহ্মদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির
পর 2003 সালে হাগ্রামা মহিলারীর সঙ্গে চুক্তির পর প্রজাতন্ত্র
দিবসের দিনে বা পরে আর্ত্বসমপর্নকারী এন.ডি.এফ.বি.-র তিন গোষ্ঠী এবং আবসুর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক
চুক্তি করতে চলেছে। এই চুক্তির পুরোধা বি.টি.সি প্রধান হাগ্রামা মহিলারী ইতিমধ্যে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছেন বলে বি.পি.এফ.
সূত্রে জানা গেল। সূত্রটি জানান, অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এই চুক্তি সফল
করতে হাগ্রামাদের সহযোগিতা করেছেন। এন.ডি.এফ.বি আলোচনা বিরোধী সনজিবিত গোষ্ঠীর
ফেরাঙা, আলোচনার পক্ষে গোবিন্দ বাসুমতারি, রঞ্জন দৈমারী, আবসুর সভাপতি
প্রমোদ বোড়ো সঙ্গে অবশ্যই হাগ্রামা প্রমুখ
কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তৃতীয় বোড়ো চুক্তি সম্পদান করবেন। এই চুক্তির ফলে বর্তমান
বি.টি.এ.ডি. এলাকা বেড়ে যাবে শোনিতপুর জেলা পর্যন্ত। বর্তমানের আইন সভায় 40টি আছে, এবার হবে 60টি আসন, 18টি আসন অবোড়ো
জনগোষ্ঠীর জন্যে সংরক্ষিত থাকবে, কোকড়াঝার, ছাড়াও শোনিতপুর
জেলার তেজপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিরাট এলাকা এই অঞ্চলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। এন.ডি.এফ.বি-র
আলোচনাপন্থী নেতা গোবিন্দ বাসুমতারি বিভিন্ন অবোড়ো জনগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
করে তাদের প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রতি
সমর্থন জানাতে বলছেন। রঙ্গিয়াতে শুক্রুবার এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সারা অসম বাঙালি
যুব ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সহদেব দাস, তিনি আজ জানান, বি.টি.সি. এলাকার
বাঙালিরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা নতুন চুক্তিকে
সমর্থন করবে, তবে বাঙালিদের সব অধিকার যেন সুনিশ্চিত হয়, বোড়ো নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন বাঙালিদের সব অধিকার
দেবে। এই ব্যবস্থা কায়েম করা হলে 4-5 টি বিধানসভা
আসন নতুন অঞ্চলে যেতে পারে। অবড়ো গণ
সুরক্ষা দলের নেতা ব্রজেন মহন্ত জানান,
অতি সত্বর নতুন চুক্তি হবে। অবোড়ো জনগোষ্ঠীর অধিকার সংকুচিত হবে।
কোন মন্তব্য নেই