সারা বিশ্ববাসী দেখলো আন্তজার্তিক পর্যায়ে র ভারত শ্রীলঙ্কা টি টোয়েন্টি ক্রিকেট মাঠ হেয়ার ড্রায়ার, ও ইস্ত্রি ব্যবহার করে শুকনো হচ্ছে।
অমল গুপ্ত গুয়াহাটিঃ প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বৃষ্টি র ফলে খেলা বন্ধ, তা এক সাধারণ ঘটনা, কিন্তু গুয়াহাটিতে এই বছরের প্রথম আর্ন্তজাতিক ভারত শ্রীলঙ্কা টি টোয়েন্টি অসমাপ্ত ক্রিকেট ম্যাচ কে ঘিরে অনভিজ্ঞতার যে চূড়ান্ত উদাহরণ তুলে ধরা হলো, তা সত্যিই অসাধারণ, বিশ্ববাসীর কাছে অসমের মান সম্মান ধুলোয় মিশে গেল। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অসম ক্রিকেট সংস্থার কর্মকর্তা গৌতম রায়রা গুয়াহাটি কাহিলিপাড়া এলাকায় বিশ্বমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণে অনেক অবদান রেখে গেছেন। মাঠের জল যাতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় তারজন্য প্রথমে বালি তারওপর মাটি দিয়ে ক্রিকেট ময়দান তৈরি করা হয়। প্রধান পিচ এবং আউট ফিল্ড ঢাকার অত্যাধুনিক কভার অসম ক্রিকেট সংস্থার হাতে ছিল না ? সাধারন পাতলা প্লাস্টিক নয়, নতুন প্রযুক্তির কভার ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক পর্য্যাযের খেলা হয়ে থাকে,এখানে কি দেখলাম মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল , অর্থ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস ভিভি আই পি গ্যালারিতে বসে থাকার সময় গ্রাউন্ড স্টাফ এবং কিউরেটর রা হেয়ার ড্রায়ার, এবং ইস্ত্রি ব্যাবহার করে ভিজে মাঠ শুকাবার ব্যার্থ চেস্টা করছে। ধারা ভাষ্যকার আকাশ চোপড়া তা থেকে সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। তা দেখে হরভজন সিং সিং ও অন্যান্য রা বিস্ময়ে হতবাক, আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের খেলায় এমন ছেলেমানুষি হতে পারে ! আবহাওয়া দপ্তর দুদিন আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এই প্রতিবেদক আগেই লিখেছিল বৃষ্টি দুই দলের ভাগ্য নির্ধারন করবে। তাই হলো, অসমে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকা সত্তেও কোনো ধরনের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে দেশ জুড়ে অভিযোগ উঠছে। সন্ধ্যা 7 টাই খেলা শুরুর আগে টস এ জিতে ভারত ব্যাটিংয়ে এর শীর্ধ্যন্ত নেন বিরাট কোহলি। তখনও বর্ষাপাড়া র আকাশে অকাল বর্ষার ভরা মেঘ, যে কোনও সময় ঝরে পড়বে, বিকাল চারটে টে গেট খোলা হয় ,হাজার চল্লিশ দর্শক জাতীয় সংগীতের সঙ্গে হাজার হাজার মোবাইলের জোনাক জ্বলা লাইট , ফ্লাড লাইট এর আলোতে মিশে এক অসাধারণ উজ্জ্বল মূহুর্ত্তের সৃষ্টি করেছিল, ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা গুয়াহাটির সেই দুর্লভ ছবিটি বিশ্ববাসীকে দেখায়। অসমের ক্রিকেট প্রেমীদের এই গর্বের ছবি দেখার মিনিট কয়েক বাদ দেখেন গ্রাউন্ড স্টাফরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বদলে হেয়ার ড্রায়ার, ইস্ত্রি ব্যবহার করে ক্রিকেট পিচের জল শুকাচ্ছে, ভারতের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি তা দেখে অবাক হচ্ছেন। এই অবাক করা , অসমকে লজ্জানত করার ছবি টি বিশ্ববাসী দেখলেন, আজ দেশ বিদেশের সংবাদ মাধ্যম এই ছবিটিকে দেখিয়ে ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগই আজ বলেন , যে সরকার প্লাস্টিকের ফুটো বন্ধ করতে পারে না, মাঠ ঢাকতে পারে না, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। ক্রিকেট দর্শক রা অভিযোগ করেছেন, জলের বোতল নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি, অথচ স্টেডিয়াম এর ভেতরে এক বোতল জল 30 , 40 টাকাতে বিক্রি হয়েছে। 4 ঘন্টা বসতে হয়েছে, বোতল নেওয়ার অধিকার ছিল না। অসম ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে টিকিটের সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই