Header Ads

সেমিফাইনালের লড়াইয়ে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশিকা ! 'ভয়ে' কাউন্সিলর, বিধায়করা !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ
২০২০-তে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভা নির্বাচনকে ২০২১-এর আগে সেমিফাইনালের লড়াই বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। সেই লড়াইয়ে যাতে কোনওভাবেই ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেই ব্যাপারে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। 

পুরভোটের আগে হাতে মাত্র তিন মাস সময়। এরপর এপ্রিল মে মাস জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নির্বাচনে। সেই নির্বাচনকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনালের লড়াই বলে ধরে নিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। বিধানসভার আগে কার কতটা প্রস্তুতি রয়েছে তা বোঝা যাবে এই লড়াই থেকেই।
নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি বিজেপির। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি বলছে বিধানসভা নির্বাচন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে, কিন্তু পুরসভা নির্বাচন হবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পুর নির্বাচনেও তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। তাদের মতে রাজ্য পুলিশের প্রহরায় লড়াই হলে সুযোগ নেমে তৃণমূল। বিজেপি এপ্রসঙ্গে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন ছাড়াও ২০১৫ সালের বিধাননগরের পুরভোটের কথা উল্লেখ করেছে।
সতর্ক তৃণমূল সামনে স্বীকার না করলেও, পিছনে তৃণমূলের অনেক বাঘা নেতাও স্বীকার করে নেন ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে কোন ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে এ প্রসঙ্গে সতর্ক করেছেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বুঝতে কোনও ভাবেই হিংসার আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল টানা এনআরসি আর সিএএ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি উন্নয়ন সামনে রেখেই পুরসভার নির্বাচনে শামিল হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
সূত্রের খবর, অনুযায়ী প্রশান্ত কিশোর নির্দেশ দেওয়ার পরেই 'ভয়ে ভয়ে' রয়েছেন বিধায়ক থেকে কাউন্সিলর সবাই। সূত্রের আরও খবর উত্তর কলকাতা এলাকার এক বিধায়ক চান না পুরভোটে তাঁর এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হোক। কিন্তু সেই এলাকার এক বিধায়ক বলছেন যদি হাত থেকেই ওয়ার্ড বেরিয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী লড়াই কীভাবে সম্ভব, তা নিয়েও নাকি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.