Header Ads

ফের ভরসা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, দ্বিতীয়বার সভাপতি পদে নির্বাচিত দিলীপ ঘোষ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

আবারও রাজ্য বিজেপির কান্ডারী দিলীপ ঘোষ সভাপতি মনোনীত হলেন। দাগ কাটতে পারলেন না মুকুল। দিলীপেই  আস্থা রাখলেন দলের হাইকমান্ড। দ্বিতীয়বার রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন দিলীপ ঘোষ। বিতর্ক তাঁর সঙ্গে চললেও দিলীপ যে রাজ্যে বিজেপিতে জোয়ার এনেছেন সেকথা মেনে নিয়েই এই পদ প্রদান বলে মনে করা হচ্ছে।  


গতকালই তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল দৃঢ়তা। দলের সিদ্ধান্তকে মেনে নেব বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তখনই আঁচ করা গিয়েছিল ফের হয়তো তাঁকেই বেছে নেবেন অমিত শাহরা। রাজ্য বিজেপির অধিকাংশ নেতাই নাকি ভোটাভুটিতে দিলীপকে সমর্থন জানিয়েছেন। আরএসএসেরও পছন্দ দিলীপই। সব পছন্দ যখন মিলে গিয়েছে তখন আর সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়নি অমিত শাহদের।
বিজেপির এখন পাখির চোখ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট। ক্ষমতায় আসতে না পারলেও তৃণমূলের আসন সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে কমাতে বিজেপি যে মরিয়া হয়ে উঠেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। লোকসভা ভোটেই নিজেদের জোর বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। আর রাজ্যে বিজেপির এই জোয়ার এসেছে দিলীপের দৌলতেই বলে দলের কর্তাদের বিশ্বাস।
রাহুল সিনহা সভাপতি থাকাকালীন বিজেপি চিহ্নিত করা মুশকিল ছিল রাজ্যে। দিলীপ সভাপতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিজেপি সংগঠন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সদস্য সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। দিলীপের সাদামাঠা চাঁচাছোলা ইমেজই যে তার কারণ সেটা বুঝতে পেরেছে হাইকমান্ড। তাই বিতর্ক তাঁকে নিয়ে যাই হোক সংগঠন শক্তিশালী করতে দিলীপকে এই মুহূর্তে সরাতে চাইছেন না অমিত শাহরা।
তবে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে রাজ্য বিজেপিতে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় থেকে চন্দ্র বসু সকলেই প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। দ্বিতীয়বার দিলীপের সভাপতি পদে নির্বাচনে এক শ্রেণির বিজেপি নেতা কর্মী যে অসন্তুষ্ট হয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। নতুন পুরনোর লড়াই বিজেপিতে নতুন করে মাথাচারা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ মুকুলের হাত ধরে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা মুকুলকেই সভাপতি পদে দেখতে চেয়েছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.