ব্যক্তি নির্মানের মাধ্যমে রাষ্ট্র নির্মানের কাজ করছে আরএসএসঃ রাজকিশোর ঘাটুয়ার
বি.এম. শুক্লবৈদ্য, বিহাড়া, 3 ডিসেম্বরঃ ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান
প্রজন্মকে ভালো করে অধ্যয়ন করার প্রয়োজন রয়েছে। একসময় ভারতবর্ষ বিশ্বগুরুর আসনে
অধিষ্ঠিত ছিল। সভ্যতা-সংস্কৃতি-শিক্ষা সবকিছুতেই এদেশের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে।
কিন্তু একাংশ স্বার্থান্বেষীদের জন্য ভারত মাতাকে নিপীড়িতা ও লাঞ্চিতা হতে হয়েছে।
টুকরো টুকরো করা হয়েছে দেশমাতাকে। এখনো কিছু সংখ্যক ধান্দাবাজ লোকের জন্য বিভিন্ন
সময়ে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। ফলে
ভারতের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে সকলকে একজোট হয়ে দেশমাতার হিতে কাজ করতে হবে। আরএসএস
ব্যক্তি নির্মানের মাধ্যমে রাষ্ট্র নির্মানের কাজ করে চলেছে। সোমবার ডলু সরস্বতী
শিশুনিকেতনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পশ্চিম কাছাড় জেলা আয়োজিত সাত দিবসীয়
প্রাথমিক শিক্ষাবর্গের দীক্ষান্ত সমারোপ অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন জেলা প্রচারক
রাজকিশোর ঘাটুয়ার। ওই দিন সকালে ভারতমাতা, সংঘ প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওর ও দ্বিতীয় সরসংঘচালক মাধব সদাশিব
গোলওয়ালকরের প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দীক্ষান্ত সমারোপ
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বর্গের কার্যবাহ সুকান্ত ভট্টাচার্য। দীক্ষান্ত সমারোপ
অনুষ্ঠানে রাজকিশোর ঘাটোয়ার আরও বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ আজ বিশ্বের
সর্ববৃহৎ সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর কাজ শুধু ভারতবর্ষেই সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন
প্রান্তে সংঘের কাজ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বংয়সেবক সংঘ বা আরএসএসকে সকলেই চেনেন।
যাহারা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বা সংগঠনের হয়ে কাজ করছেন তারা ভাগ্যবান বলে উল্লেখ
করেন তিনি। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর শুভদিনে ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওরের হাত ধরে
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে কয়েক লক্ষ
স্বয়ংসেবক রয়েছেন। জন্ম লগ্ন থেকে দেশের হিতার্থে কাজ করে আসছে আরএসএস। দেশমাতাকে
ফের বিশ্বগুরুর আসনে অধিষ্ঠিত করতে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সাত দিবসীয় শিক্ষাবর্গে শিক্ষার্থীরা যে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তার উপযুক্ত ব্যবহার
করার আহ্বান জানান জেলা প্রচারক। ওই শিবিরে পশ্চিম কাছাড় জেলার গুমড়া, বিহাড়া কাটিগড়া ও বড়খলা খন্ড সহ কালাইন নগরের বিভিন্ন এলাকার ১০১ জন শিক্ষার্থী অংশ
নিয়েছিলেন। এতে বিভিন্ন
ভাষাভাষী সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা ছিলেন। ওদের প্রশিক্ষণ দিতে ১৫ জন শিক্ষক ও ২২
জন প্রবন্ধক ও বর্গে উপস্থিত ছিলেন। শিবিরের শেষে প্রশিক্ষার্থীদের নিজ নিজ গ্রামে
সংঘটনের শাখা শুরু করার জন্য বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই