Header Ads

"কা" আন্দোলনের প্রভাব, আসাম পর্যটন বিভাগের ৫০০ কোটি আর উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ১০০ কোটির লোকসান



দেবযানী, গুয়াহাটি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন  (কা) কে  নিয়ে সমগ্র দেশজুড়ে আন্দোলন ও  চলে থাকা প্রতিবাদের ফলে আসাম পর্যটন বিভাগের ৫০০ কোটি টাকা এবং উত্তর পূর্ব রেলওয়ের ১০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। আসাম পর্যটন নিগমের অধ্যক্ষ জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া কিছুদিন আগে ঘোষণা করে যে রাজ্যের পর্যটন বিভাগ এসময় প্রায়৫০০কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে ।ধারাবাহিক প্রতিবাদ ,ইন্টারনেট সেবা, বন্ধ, হিংসাত্মক কার্যকলাপ ইত্যাদির  পরিপ্রেক্ষিতে অসমের পর্যটন ক্ষেত্রে  বৃহৎ পরিমানের ক্ষতি হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে আজও উত্তাল সমগ্র রাজ্য। বিভিন্ন দল সংগঠনের সাথে ছাত্রসংগঠন "কা"'বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে ।রাজ্যে ভাযাভয়  রূপ নেওয়া "কা"আন্দোলনের জন্য অনেক দেশী,-বিদেশী পর্যটকরা অসম ভ্রমণ বাতিল করেছে ।অসম পর্যটন বিভাগের অধ্যক্ষ জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া  বলেছেন যে" কা"  বিরোধী আন্দোলন রাজ্যের পর্যটন বিভাগে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে ।নভেম্বর থেকে জানুয়ারী মাস পর্যন্ত পর্যটনের ক্ষেত্রে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় অনেক বিদেশী পর্যটকরা আসাম ভ্রমণ করার জন্য আসেন। বিশেষ করে মজুলী ও  কাজিরাঙ্গা ভ্রমণের জন্য এই সময় অনেক বিদেশী পর্যটকরা আসেন। 
                                   


কিন্তু এবার অনেক দেশী- বিদেশী পর্যটকরা অসম সফর বাতিল করেছে। ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। কাজিরাঙ্গা ভ্রমণের জন্য পর্যটকের দেখা নেই।খালী হয়ে পরে রয়েছে কাজিরাঙ্গার সাফারি জিপ। আর মাজুলীতেও পর্যটকদের ভিড় নেই তেমন।। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনের জন্য এ বছর পর্যটক ভিড় যথেষ্ট কমেছে ।বিভিন্ন লজ,  হোটেল, রিসোর্ট আবাসস্থল পর্যটকের অভাবে খালি পড়ে রয়েছে। সাথে পর্যটনের ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিদের অনেক লোকসান হয়েছে।



নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন "কার" বিরুদ্ধে সংঘটিত হিংসাত্মক প্রতিবাদের ফলে উত্তর- পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বিগত ৯ থেকে ৩০ ডিসেম্বরে ২০১৯  পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দ্বারা।প্রকাশ করেছে যে এই লোকসান  কেবল রেলওয়ে সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্যই নয় এর সাথে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অন্য প্রান্তে  যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রেন ও  মালগাড়ি ট্রেন বাতিলের কারণে হয়েছে ।
                                         


রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়া ,রেলওয়ে লাইন ,লেভেল ক্রসিংয়ের ক্ষতিসাধন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ তথ্য ও অন্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী জ্বালিয়ে দেওয়ার ফলে এই ক্ষতিসাধন হয়। তিনসুকিয়া ,কাটিহার,লামডিং, রাঙিয়ার মতো ডিভিশন গুলিতে সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা ।যাত্রীর থেকে আসা আয় লোকসানের ফলে প্রায় ৩০,১৩ কোটি টাকার লোকসান হয়। একইভাবে মালবাহী ট্রেন বাতিলের ফলে ৬৩,৫২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।পার্সেল থেকে লোকসান হয়েছে ৫,০৫ কোটি টাকা ।এই লোকসান বিগত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে সংঘটিত হয়েছে । উক্ত সময়ে রেল যাত্রা বাতিলের ফলে  প্রায় ৩৮.৬৮ লাখ যাত্রী তাদের যাত্রা বাতিল করেছে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবার পরও কিছু আক্রান্ত অঞ্চলের  ট্রেন যাত্রা শুরু করা হয়। অন্যদিকে কয়েকটি অঞ্চলে সংঘটিত হওয়া ক্ষতির মেরামতির কাজ এখনো চলছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.