Header Ads

বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতির মর্যাদা দেওয়া নিয়ে ডিমা হাসাও কংগ্রেসের বিরোধিতা

  বিপ্লব দেব হাফলং ৩১ জানুয়ারিঃ 

বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতি হিসেবে ঘোষনা করার সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস। শুক্রবার হাফলং রাজীব ভবনে এক সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল লাংথাসা বলেন গত ২৭ জানুয়ারি নতুন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত সাহ অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল ও অসমের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উপস্থিতিতে এনডিএফবি জঙ্গি সংগঠন ও আবসু নেতৃত্বের সঙ্গে যে ত্রিপাক্ষিক শান্তি চুক্তি হয়েছে একে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস তবে ওই শান্তি চুক্তিতে বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এর তীব্র বিরোধিতা করছে ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস। 

কোনও অবস্থায় বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতি হিসেবে মানবে না ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস। এমনকি অসমের দুই পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাও ও কার্বি-আংলং-য়ের সাধারন মানুষ তা মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করে নির্মল লাংথাসা বলেন অসমের পিছিয়ে পরা ডিমা হাসাও কার্বি-আংলং জেলায় বসবাস রত পার্বত্য উপজাতি জনগোষ্ঠীর মানুষ শিক্ষা থেকে শুরু করে চাকুরী রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সব দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি বড়ো জনগোষ্ঠী সমতল জনজাতি হয়ে শিক্ষা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ পাচ্ছে ঠিক ডিমা হাসাও জেলা ও কার্বি-আংলং জেলার পার্বত্য উপজাতি জনগোষ্ঠীর মানুষ শিক্ষা থেকে শুরু সব ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ পাচ্ছে এই অবস্থায় বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতি হিসেবে ঘোষনা করে বড়োরা যেমন সমতল জনজাতি হিসেবে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ উপভোগ করবে ঠিক তেমনি পার্বত্য জনজাতি হিসেবে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ ব্যবস্থা উপভোগ করবে যার দরুন অসমের পিছিয়ে পরা দুই পাহাড়ি জেলার সাধারন মানুষ ও নব প্রজন্ম শিক্ষা থেকে শুরু করে চাকুরী ও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সহ মানব উন্নয়ন সম্পদ  থেকে ও বঞ্চিত হবে যা কোনও অবস্থায় মেনে নেবে না পাহাড়ি জেলার মানুষ।  তাই বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতির মর্যাদা দিলে কংগ্রেস এর তীব্র বিরোধিতা করবে। তাই অবিলম্বে বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করে দেখার দাবি জানায় ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল লাংথাসা। আর এনিয়ে সরকার যদি চিন্তা ভাবনা না করে তাহলে কংগ্রেস আইনী পথে যেতে বাধ্য হবে বলে সাংবাদিক সন্মেলনে মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা জুয়েল সেঙ্গইয়ং। এদিন সাংবাদিক সন্মেলনে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহেন্দ্র কেম্প্রাই ও অরিপম বডো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.