Header Ads

এনআরসি-এনপিআর নয় ! মুখ্যমন্ত্রীদের বার্তা দেওয়া হল বিরোধী বৈঠকে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

এনআরসি তো নয়ই, এনপিআরও নয়। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী বৈঠক থেকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সোমবার। এদিন বিরোধী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তারা তাদের রাজ্যে এনআরসি প্রয়োগ করবেন না, তাদের এনপিআরও স্থগিত করতে হবে। কারণ এই এনপিআর এনআরসিরই একটি প্রস্তাবনা। 


কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরে ২০ দলের নেতারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করেন, যে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তারা তাদের রাজ্যে এনআরসি প্রয়োগ করবেন না তাদের অবশ্যই এনপিআর গণনা স্থগিতের কথা বিবেচনা করা উচিত।
এখানে বিশেষভাবে লক্ষণীয় বিষয় হল, বহুজন সমাজ পার্টি, আম আদমি পার্টি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস, মহারাষ্ট্রের শিবসেনার কোনও প্রতিনিধি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল না। তাই তাদের কাছে এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং একইসঙ্গে্ বিহারে নীতীশ কুমার, ওড়িশায় নবীন পট্টনায়ক ও অন্ধ্রপ্রদেশে জগমোহন রেড্ডির কাছে এটা চাপেরও।
এই বৈঠক শেষে বিরোধী নেতৃত্ব জানায়, সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি একটি প্যাকেজ, যা অসাংবিধানিক, বিশেষত দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, এসসি-এসটি এবং ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে এই প্যাকেজ তৈরি করেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।
এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ। বিজেপি সরকার এভাবেই টুপি পরাচ্ছে মানুষকে। বিরোধীরা সাফ জানিয়েছেন, দেশব্যাপী এনপিআর চালু করার মাধ্যমেই এনআরসি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিরোধীরা মনে করছে, এই এনআরসির মাধ্যমে দেশ থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তা নিয়ে দেশে ঝড় উঠেছে। এই আইন প্রণয়নের পর বিজেপির বন্ধু রাজ্যগুলিও সাফ জানিয়ে দেয় তারা এনআরসি কার্যকর করবে না, সিএএ-ও চালু করবে না। কিন্তু এনপিআর নিয়ে তারা কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। এবার বিরোধী দলগুলি সিদ্ধান্তের পর তারা চ্যালেঞ্জের মুখে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.