Header Ads

পুরভোটে শোভনকে নিয়ে 'আশাবাদী' দিলীপ ! বৈশাখীর মন্তব্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

কলকাতা পুরসভার ভোট নিয়ে দামামা বাজতেই, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম ফের বিজেপি নেতাদের আলোচনায়। বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বিজেপি। অন্যদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি চান পুরনির্বাচনে সক্রিয় হোন শোভন চট্টোপাধ্যায়। 

সংগঠনের নিরিখে কলকাতা পুরসভা এলাকায় তারা যে তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে তা অকেপটে কার্যত স্বীকার করেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তবে সেই আলোচনা উঠলেই তারা তোলেন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদী ঝড়ের কথা। কিন্তু ২০২০-র পুরসভা নির্বাচনে মোদী ঝড় যে থাকবে না, তা বলছেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক। ফলে কঠিন লড়াই। তবে তৃণমূলকে কোনও ফাঁকা জমি ছাড়তে রাজি নয় গেরুয়া বাহিনী। 
২০১৫-র কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি সেভাবে ক্ষমতা দেখাতে না পারলেও, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যদি কলকাতা পুরসভা এলাকার ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফল দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে বিজেপি ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে এগিয়ে ছিল ৪৪ টি আসনে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে লাগবে ৭৩ টি আসন।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা এলাকার সংরক্ষিত আসনগুলির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড কোনও সংরক্ষণের আওতায় পড়েনি। অনেকে মনে করছেন দীর্ঘদিন পর্ণশ্রী এলাকায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে ওই আসনে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
নেতারাও পিছিয়ে নেই। তাঁরা দিন কয়েক ধরেই প্রচেষ্টা শুরু করেছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় করতে। দিল্লিতে গিয়ে ২০১৯-এর ১৪ অগাস্ট বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার একসপ্তাহের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয় দুজনের। এরপর থেকে বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানেই সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। অনুপস্থিত ছিলেন অক্টোবরে অমিত শাহের কলকাতা সফরের সময় নেতাজি ইন্ডোরে হওয়া অনুষ্ঠানেও। পরবর্তী সময়ে বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শোভন-বৈশাখী।
ভাইফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেই সময় জল্পনা শুরু হয়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।
মাঝের বেশ কিছুটা সময় বাদ দিলে বর্তমানে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সম্পর্ক এখন অনেকটাই মসৃণ বলে জানা গিয়েছে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি চান পুরনির্বাচনে সক্রিয় হোন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিক্ততা ভুলে দূরত্ব কমাতে তিনি তৈরি। শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তিনি (শোভন) তো বিজেপিতেই রয়েছেন। তাঁকে(শোভন) সক্রিয় করে তুলতে বিজেপি নেতারা যাবেন কথা বলতে।
বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা, শোভন চট্টোপাধ্যায় পুর নির্বাচনের আগেই সক্রিয় হবেন। তবে বিষয়টি শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজেই জানাবেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.