Header Ads

ব্ৰিটিশ রাজপরিবারের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা প্ৰিন্স হ্যারি ও মেগানের

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল ব্ৰিটিশ রাজ পরিবারে। বাকিংহাম প্যালেস ছাড়লেন প্ৰিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্ৰী মেগান মাৰ্কেল। শুধু তাই নয় সেই সঙ্গে নিজেদের রাজবংশের পরিচয়ও ত্যাগ করার ঘোষণা করলেন তাঁরা।
ডিউক অব সাসেক্স প্ৰিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্ৰী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মাৰ্কেলের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আকস্মিক ঘোষণায় যুক্তরাজ্যজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ব্ৰিটিশ রাজ পরিবারের এই সংকট সমাধানে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শেষ পৰ্যন্ত সরাসরি আলোচনার পথই বেছে নিয়েছেন। তিনি প্ৰিন্স হ্যারিকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সোমবার ইংল্যান্ডের নরফক কাউন্টিতে সাৰ্ডিংহাম প্ৰাসাদে এই আলোচনা হওয়ার কথা।

ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
বেশ কিছুদিন ধরেই প্ৰিন্স হ্যারি এবং মেগান বিষয়টি নিয়ে যুবরাজ চাৰ্লসের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলোচনার জন্য রানির সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বড়দিনের আগে দেখা না করতে না পেরে তাঁরা ক্ৰিস্টমাসের ছুটি কাটাতে কানাডা চলে যান। সেখানে বসেই তাঁরা জনসমক্ষে সকথা প্ৰকাশের সিদ্ধান্ত নেন। ঠুটির পর ফিরেই ৮ জানুয়ারি একথা ঘোষণা করেন তাঁরা। এভাভে রাজপরিবার থেকে নিজেদের কেন বিচ্ছিন্ন করে নিলেন তার কারণ হিসেবে তাঁদের বক্তব্য, সাংবাদিকদের অতি-উৎসাহই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ।

বাকিংহাম প্যালেস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে হ্যারি-মেগান জানিয়েছেন যে, প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকার জন্য তাঁদের অনেক লড়তে হচ্ছে। বিয়ের পর থেকেই প্রতিদিন নানা মুখরোচক খবরাখবর হচ্ছে তাঁদের ঘিরে, যা তাঁদের জীবনে প্রভাব ফেলছে। তাঁদের ওই বিবৃতিতে আরও লেখা– “আমরা আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে চাই। এই রাজপরিবারের বাইরে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশার যে পরিবেশ, তা উপভোগ করতে চাই। ভেবেছি, ইংল্যান্ড ও উত্তর আমেরিকায় ঘুরিয়েফিরিয়ে সময় কাটাব। আমরা চাই, রানি নিজের রাজত্ব সামলে শান্তিতে থাকুন।”  অনেক ভেবেচিন্তেই তাঁরা রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.