আঞ্চলিক দল অগপ মহন্ত অতুল দুই গোষ্ঠীতে বিভাজন, প্রধান কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিল অতুল পন্থীরা, মহন্ত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তির পর তদানিন্তন আসুর সভাপতি প্রফুল্ল কুমার মহন্তর নেতৃত্বে অসম গণ পরিষদ নামে আঞ্চলিক দলের জন্ম হয়েছিল। দু দু বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মহন্ত, তারপর মহন্ত বছরদুয়েক নতুন এক দল অগপ প্রগতিশীল নামে আঞ্চলিক দল গঠন করে ছিলেন, পরে অগপর সভাপতি পদ নিয়ে অগপ তে ফেরেন, কোনও বিতর্ক হয় নি, মাঝে গুপ্ত হত্যা ইস্যু মহন্তকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল। আজ এত বছর পর নাগরিকত্ব সংশধোনি আইন কে কেন্দ্র করে মহন্ত কে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ র মধ্যে ফেলে দিলো। তিনি কিন্তু হার মানেন নি। তিনি সহ চার বিধায়ক ও ২৯ টি অগপ জেলার হাজার খানিক সমর্থকদের নিয়ে গুয়াহাটি লক্ষী রাম বরুয়া সদনে অগপ তৃণমূল কর্মী ‘কা’ বিরোধী সমন্বয় রক্ষা কমিটি গঠন করলেন বলে কমিটি সূত্রে জানা গেল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত, অগপ উপ সভাপতি বৃন্দাবন গোস্বামী, উৎপল দত্ত এবং পবিন্দ্র ডেকার উপস্থিতিতে আজকের মত বিনিময় সভায়, বক্তারা মহন্ত কে পূর্ন্য সমর্থন দিয়ে ‘কা’ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাবার পরার্মশ দেন। এবং তিন মন্ত্রী দলের সভাপতি তথা মন্ত্রী অতুল বরা , মন্ত্রী ফনি ভূষণ চৌধরী, এবং কেশব মহন্ত কে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয় । আমবাড়ির অগপ র প্রধান কার্যালয়ে অতুল পন্থীরা তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী কে মোতায়েন করে রাখে, মহন্ত, বৃন্দাবন পন্থীরা অগপ র প্রধান কার্যালয়ে সভা করার চেষ্টা করে ছিলো। আজ পাকাপাকি ভাবে অগপ র বিভাজন ঘটলো। অগপ তৃণমূল কর্মী কা বিরোধী রক্ষা কমিটি আজ সর্বসম্মত ভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করে দলের ২৯ জেলায় দুজন করে মোট ৬০ জনের কমিটি গঠন করে প্রতি জেলায় ‘কা’ বিরোধী সভা করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে বলে অগপ কৃষক পরিসদের নেতা দীপক সরকার জানান। অগপ র তিন মন্ত্রী সহ বাকি বিধায়ক দের বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ‘কা’ র বিরোধিতা করার জন্যে আহ্বান জানানো হয়, মহন্ত, বৃন্দাবন, প্রবীন্দ্ররা এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, অগপ র সাধারণ কমিটির সভায় কা বিরোধী প্রস্তাব সবাই সমর্থন করে ছিলেন। সাত দিনের মধ্যে বিজেপি দল না ছাড়লে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও বলেছে মহন্ত পন্থীরা। এদিকে অগপ মন্ত্রী ফনি ভূষণ চৌধুরী মহন্ত দেরই দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। দাবি করেন তারা আসল অগপ। মহন্ত পন্থীদের অভিযোগ ব্যাক্তি গত স্বার্থে, ব্যবসায়িক কারণে অসম কে বাংলাদেশের কাছে বিকিয়ে দেবার জন্যে অতুল, কেশব ফনি ভূষণ রা মন্ত্রিত্বের লোভ ছাড়তে পারছে না।








কোন মন্তব্য নেই