Header Ads

বামপন্থী মগজ ধোলাই শ্যামাপ্রসাদের মূল্যায়ণ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

১৯৪৩ সালে বম্বেতে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্মেলনে পূর্ণচন্দ্র যোশীর নেতৃত্বে ভারত বিভাগ ও পাকিস্তানের দাবির সমর্থনে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ঐ সম্মেলনের তোরণে একদিকে জিন্না ও অন্য দিকে নেহেরুর ছবি টাঙানো হয়। শ্যামাপ্রসাদ তো দূরের কথা বাংলার সুভাষ বোসের ছবিও সেখানে ঠাঁই পায় নি। ((সুনীল কুমার ঘোষ, লিবারেশনের প্রথম সম্পাদক দ্যা টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন, ২ জানুয়ারি, ১৯৯৩) তখন কমিউনিস্টদের জোরালো শ্লোগান ছিল--‘‘পাকিস্তান মানতে হবে তবেই ভারত স্বা্ধীন হবে !’’

শুধু তাই নয়, ১৯৪৭-এর ২০ জুন বাংলা বিধানসভায় বঙ্গ-বিভাজনের পক্ষে ভোট দেন কমিউনিস্ট নেতা জ‍্যোতি বসু, রতনলাল ব্রাহ্মণ ‍ও রূপনারায়ণ রায় ! পাকিস্তন তারা চেয়েছিলেন--বঙ্গ-বিভাজনও তাদের কাঙ্খিত ছিল--তাদের মনোবাসনা পূরণ হওয়ার পর তারাই আওয়াজ তুললেন--‘‘ এ আজাদি ঝুটি হ্যায় !’’ এবং এই কমিউনিস্টরাই ঝুটি আজাদির দৌলতে এই বাংলায় প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে ক্ষমতার মাখন চেটে গেল। তাদের অতীত ‘‘দেশপ্র্রেমের’’ যাবতীয় কীর্তি ও ইতিহাস  গোপন রাখার মরিয় চেষ্টায় বামপন্থী ইতিহাসবিদদের দিয়ে চূড়ান্ত বায়াসড্ ইতিহাস নিমার্ণের মাধ্যমে শ্যামাপ্রসাদকে কলঙ্কিত করে চলেছে। এই কমিউনিস্টদের মগজ ধোলাইয়ে যাদের মেধা ও বুদ্ধি বিবেচনা সব ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে তারা এখনও শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে অশ্লীল অমার্জিত অপপ্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের জন্য নব্য ইতিহাসবিদ ইন্টেলেকচুয়ালরা নথিপত্র না ঘেঁটেই শ্যামাপ্রসাদকে দায়ি করছে--অথচ ঐ সময় বাংলার খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী ছিলেন সুরাবর্দী--১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় নাজিমুদ্দিন মন্ত্রীসভার অসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী সোহরাওয়ার্দির নগ্ন ভূমিকা উঠে আসে। খাদ্যের ঘাটতির বদলে উদ্বৃত্তের কথা প্রকাশ করেন। এরপর আসে কলকাতা দাঙ্গা ও নোয়াখালি দাঙ্গা। কলকাতার দাঙ্গা হয়েছিল ১৬ই আগস্ট, ১৯৪৬ জিন্নার ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম’ (Direct Action) নামক নরমেধ যজ্ঞের ফলে। এসব ইতিহাস চাপা দিয়ে বামপন্থী নেতা ও ইতিহাসবিদরা শ্যামাপ্রসাদের ভাবমূর্তিতে নিরন্তর কালি ছিটিয়ে চলেছে !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.