Header Ads

বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন দিল্লির রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রয়াত

সুধৃতি দত্ত, নুতন দিল্লি, 30 ডিসেম্বরঃ অতি সম্প্রতি ভারতে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর আজ সকালে ঢাকার সামরিক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইহলীলার অন্ত হয়।
মোয়াজ্জেম আলী, ১৯৪৪ সালের ১৮ জুলাই অবিভক্ত সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আলী
১৯৬৮  সালে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন এবং ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করেন।
"আলী সাহেবের বিয়োগের খবর পেয়ে খুবই মর্মাহত হলাম। আমরা একজন প্রকৃত ভারতপ্রেমীকে হারলাম," বলেন সুমিত দত্ত মজুমদার, নুতন দিল্লির এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ।
১৯৭১  সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তান দূতাবাসে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেছিলেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের রাজনৈতিক সমর্থনের জন্যও দাবির কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পরে, তিনি যুদ্ধে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের অংশগ্রহণের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদানের দিকে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
আলি অবিভক্ত বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। পিতা মরহুম সৈয়দ মোস্তফা আলী এবং কাকা প্রয়াত সৈয়দ মুর্তজা আলী ১৯৪৭ সালের আগে আসাম সিভিল সার্ভিসে চাকুরী করেছিলেন এবং বেশ কয়েকটি বই এবং নিবন্ধও লিখেছিলেন।
তাঁর কনিষ্ঠ কাকা প্রয়াত সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক। তাঁর বড় ভাই মরহুম এস এম আলী (সৈয়দ মোহাম্মদ আলী), বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি সংবাদপত্র 'দ্য ডেইলি স্টার' এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অন্যতম সুপরিচিত বাংলাদেশী সাংবাদিক ছিলেন।
আলীর শ্বশুর মরহুম চৌধুরী ইমামুজ্জামান ১৯৪৭ এর আগে আসাম ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে চাকুরী করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী তুহফা জামান আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং নয়া দিল্লীর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল অর্জন করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.