Header Ads

বাংলাদেশের সীমান্তে আটক 300, ভারত থেকে বাংলাদেশে পাড়ির অভিযোগ, সীমান্ত জুড়ে কড়া নজরদারি


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বাংলাদেশ, 30 ডিসেম্বর : ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে গিয়ে আটক হল 300 জন।  বিএসএফ ও বিজিবি এই দুই পারের সীমান্তরক্ষীদের এমনটাই দাবি। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের ডিজি শফিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোনো ধরনের বৈধ নথি বা কাগজপত্র না থাকায় ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় মোট 300 জনকে আটক করা হেয়েছে।
যখন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে অগ্নিগর্ভ দেশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি। বিএসএফ ও বিজিবি, দুই পারের সীমান্তরক্ষীদের দাবি, সীমান্তে পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গত 25 ডিসেম্বর থেকে চারদিন ধরে দিল্লিতে দুই বাহিনীর মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিজিবি-র ডিজি শফিনুল সংবাদমাধ্যমকে হয়ে জানান, ভারতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কড়াকড়ির পরে অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। যে ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে তারা সম্প্রতি ভারত থেকেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও এরা সকলেই বাংলাদেশি বলেই দাবি করেছেন বিজিবি প্রধান।
বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল বিবেক জোহরি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা প্রতিনিয়ত সীমান্তে কড়া নজর রেখেছি। ওপারে আটক এই লোকজনেরা হয়তো ভারতে তাদের কোনও আত্মীয়ের কাছে এসেছিলেন, অথবা কর্মসূত্রে। এমনও অনেকে আছেন যারা কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছিলেন।’’ বিএসএফের ডিজি-র কথায়, দুই দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর তৎপরতায় সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও জাল নোটের কারবারে লাগাম টানা হয়েছে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দেশজুড়ে অশান্তির বাতাবরণে সীমান্তে নজরদারি আরও কড়া করা হয়েছে। এব্যাপারে বিজিবির ১১টি দলের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে সহযোগিতা করার জন্য।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। যার অর্থ ওই তিন দেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবেন না। কারণ হিসাবে মোদি সরকারের বক্তব্য, ওই তিনটি দেশের মধ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান হল মুসলিম রাষ্ট্র। আর বাংলাদেশ হল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তাই সেখানে মুসলিমরাই সংখ্যাগুরু। ফলে ধর্মীয় কারণে সেখানে মুসলিমদের উপর কোনও নিগ্রহ হয় না। কিন্তু সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও পার্সিদের বছরের পর বছর ধরে নিগ্রহ করা হচ্ছে। সুতরাং, তাঁরাই পাবেন ভারতের নাগরিকত্ব।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে অসন্তুষ্ট এদেশের সংখ্যালঘুরা। কারণ, তাঁদের আশঙ্কা যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী হিসাবে এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে সরকার। তাঁদের আর ভোটাধিকার থাকবে না। সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে কোনও সুবিধা তাঁরা পাবেন না। যদিও এই আশঙ্কা অমূলক বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইনের জন্য কোনো নাগরিকের কোনো ক্ষতি হবে না। তা তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন। এই আইন নিয়ে দেশের কোনও নাগরিকের কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। দেশের বাইরে বছরের পর বছর ধরে যে মানুষগুলো নিগৃহীত হয়েছেন, যাঁদের ভারত ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাঁদের জন্যই এই আইন।’’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.