Header Ads

১৯৩৯ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এসে যদি অসমে লীগ মন্ত্রিসভার পতন না ঘটাতেন তাহলে অজন্তা নেওগ আজ বাংলাদেশে থাকতেনঃ অর্ধেন্দু কুমার দে



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী অজন্তা নেওগের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে হোজাই জেলা কংগ্রেস। অজন্তা নেওগের বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রী অর্ধেন্দু কুমার দে তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন ১৯৩৯ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এসে যদি অসমে লীগ মন্ত্রিসভার পতন না ঘটাতেন তাহলে অজন্তা নেওগ আজ বাংলাদেশে থাকতেন। যদি বাঙালি ভোটের প্রয়োজন না হয় তবে বলার কিছু নেই, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি ভোটের জোরে কংগ্রেস দল অসমে প্রথম থেকে সমর্থন পেয়ে আসছে। অজন্তা নেওগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বাঙালিরা আর কংগ্রেসকে ভোট দেবে না, সেই কথা কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বকে স্মরণ করিয়ে দেন ডাক্তার দে। 
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ডাক্তার প্রাক্তন মন্ত্রী অর্ধেন্দু কুমার দে, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন পাল ও প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন কর আজ হোজাই শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন। নেওগের বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদে তার পদত্যাগও চেয়েছেন। ডাক্তার দে বলেন, ১৯৬১ সালে ছয় লক্ষ হিন্দু বাঙালি ২০১১ সালে ৯০ লক্ষ বলে দাবি করার বিপরীতে প্রকৃত তথ্য হচ্ছে ১৯৬১ সালে অসমে ২৮ লক্ষ বাঙালি ছিলো, যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলার চেয়ে অসমীয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। যার অর্থ হলো বাঙালিরা অসমীয়া মাধ্যমে পড়াশুনা করছে। একের পর এক এভাবে যদি কংগ্রেস দলের নেতারা বাঙালির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন, তাহলে বাঙালিরা ভাববেন, কংগ্রেসের বাঙালি ভোটের প্রয়োজন নেই। ১৯৩৯ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এসে যদি অসমে লীগ মন্ত্রিসভার পতন না ঘটাতেন তাহলে নেওগ আজ বাংলাদেশে থাকতেন। কংগ্রেসের নেতৃত্বের কাছে অজন্তা নেওগের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ওদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন পাল স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নির্বাচিত হওয়ার পর অসমীয়া বিভাগ খুলে অসমীয়া ভাষার চর্চা ও প্রসারতার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। মুখোপাধ্যায় ১৯১৭ সালে অসমীয়া ভাষী রাজ্য গঠনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ১৩৪ বছরের পুরনো কংগ্রেস দল প্রত্যক্ষ ভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলো। ভারতের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে চলতে পারে এবং তাদের আশা আকাঙ্খা পূরণ করার সবল নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। এমন ক্ষেত্রে বাঙালি জাতি নিয়ে অজন্তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রদেশ সভাপতি রিপুন বরার কাছে সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন পাল নেওগ এর বহিষ্কারের দাবি জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.