Header Ads

নেট চালু, স্বস্তি জনমনে

নয়া ঠাহর বদরপুর : ইন্টারনেট চালু হতেই স্বস্তি জনমনে। এতদিন সব কেমন মনমরা হয়ে পড়েছিল। কোন কিছুতেই ভাল লাগেনা। এ যেন সভ্যতার উপর চরম সঙ্কট। যে   'ক্যাব' বা আইনে পরিণত হওয়ার পর  'ক্যা' নিয়ে এত হইচই -- ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার ইস্যু সেই মূল ইস্যুকেও যেন পেছনে ফেলে দিয়েছে। মাছের পাইকারের মাথায় হাত - কানপুর থেকে রওনা হওয়া কাতলা বোঝাই লরি এই মুহুর্তে কোথায় আছে হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না, ডিমওয়ালা, সব্জিওয়ালা সবার অবস্থা তদ্রুপ। নেট নেই - মোবাইলে রিচার্জ প্যাক ঢোকানো যাচ্ছে না। ডিগ্রি ফার্স্ট ইয়ারের বুল্টি কদিন ধরে বয়ফ্রেন্ড বান্টির সঙ্গে চ্যাট করতে পারছে না তাই মনটা ভাল নেই। অনেকের ডিস টিভির রিচার্জ শেষ। গৃহিনীদের  স্টার জলসার সংসার ভাঙার ষড়যন্ত্রগুলি দেখা কদিন ধরে মিস হচ্ছে। সব মিলিয়ে একেবারে চূড়ান্ত বিপর্যয়। অনেকে আবার মাসতুতো পিসতুতো ভাইবোনদের ধরে ত্রিপুরা বা অন্য রাজ্য থেকে রিচার্জ যোগাড় করছেন। 
যাদের এই লাইন আছে তাদের অনেকেই ব্ল্যাকে রিচার্জ বিক্রি করেছেন। ফাঁক তালে টু পাইস ইনকাম। তবে নেট বিহীন এই কদিন আবার অনেকে খুব উপভোগ করেছেন। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে অনেকদিন পর প্রাণভরে গল্পগুজব করা গেছে । অন্যদিন হলে তো সবাই মোবাইলে ঘাড়গুজে থাকেন। এই কদিন ঘাড়টা একটু সোজা হল। মন্দ কী ? শুক্রবার ইন্টারনেট চালু হতেই আবার পুরোনো ছন্দ ফিরে এসেছে। সকাল সকাল মোবাইলে টুংটাং করে ওয়াটস্ অ্যাপ মেসেজ ঢোকা শুরু হতেই  বুল্টির হাতের মুঠোয় গোটা বিশ্ব। বান্টির একগাদা মেসেজ। গোটা সপ্তাহের প্রোগ্রাম রেডি। ব্যাস দুশ্চিন্তা মুক্ত। এই কদিন যা অশান্তি গেছে বাব্বা। এখন চুটিয়ে চ্যাট করা যাবে। 
গোটা সভ্যতা যে এখন কী পর্যায়ে ইন্টারনেট নির্ভর তা এই কদিনে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেছে।  ক্যা - নিয়ে কোথায় কী আন্দোলন হচ্ছে তা নিয়ে যত চর্চা তার থেকে বেশি চর্চা কবে নেট চালু হবে। তবে নেট বন্ধে যে পুরোটাই ক্ষতি তা বলা যাবে না। ইন্টারনেট না থাকায় জিএসটি রিটার্ন সাবমিটে  ব্যবসায়ীরা পুরো ডিসেম্বর মাসটা  ছাড় পেয়েছেন এটাই বা কম কী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.