৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির পেপার মিল দুটিকে জলের দামে বিক্রি করতে চাইছে বিজেপি সরকার অভিযোগ জয়েন্ট এ্যকশন কমিটির।
অমল গুপ্ত
গুয়াহাটিঃ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান পেপার করপোরেশনের অধীন কাছাড়
পেপার মিল এবং। জাগিরোড পেপার মিল দুটি চার বছর থেকে বন্ধ, কর্মচারীরা বেতন
হীন ভাবে, অভুক্ত অবস্থায় বিনা চিকিৎসায়, দিন যাপন করছেন। শিলচর
এর বিজেপি সাংসদ ড. রাজদীপ রায় লোকসভায় পেপার মিল দুটির কর্মহীন শ্রমিক দের
দুরবস্থার কথা তুলে ধরে জানিয়েছিলেন বিনা বেতনে , বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন ৫০ জনেরও বেশি। অবিলম্বে
মিল দুটি খোলার জোরাল দাবি জানিয়েছিলেন, কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মন গলে নি। অসমে কোটি কোটি
টাকা ব্যয় করে বিশ্ব বিনিয়োগ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হল, কিন্তু নিজ
রাজ্যের এক মাত্র বৃহৎ পেপার উদ্যোগ খোলার ব্যাবস্থা করছে না সরকার,
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত প্রায় ২ লাখ মানুষের
জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শ্রমিক দের সঙ্গে
বিশ্বাস ঘাটসকতা করেছে বলে সরাসরি অভিযোগ করল পেপার মিল দুটির সংগঠন জয়েন্ট একশন
কমিটি অফ রেককনাইজ ইউনিয়নের নেতারা। আজ গুয়াহাটি প্রেস ক্লাবের এক সাংবাদিক
সম্মেলনে মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, রামলাল ডেকা, নজিমুল ইসলাম, উদ্ধব দাস প্রমুখ এই অভিযোগ করে অসম কে আর্থিক ভাবে, কর্মসংস্থান, শিল্প বিনিয়োগে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে ‘কা’ বিরোধী
আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস ক্লাবে আজ ‘কা’ বিরোধী আন্দোলনে
নিহত শহীদ দের স্মৃতি তে এক মিনিট নীরবতা
পালন করে ইউনিয়নের নেতারা। ইউনিয়ন নেতা মানবেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, এইচ পি সি র অধীন
কেরালার কুট্টাযাম এ এক বন্ধ পেপার মিল কেরালা সরকার আগাম ২৫ কোটি টাকা দিয়ে অধিগ্রহণ
করেছে, বাকি টাকা এইচ পি
সি দিতে রাজি হয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর অধিগ্রহণ
এর কথা জানিয়েছে। অথচ অসমের দুটি পেপার মিলের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার
সম্পত্তি জলের দামে বিক্রি করে দিতে চাইছে
সরকার। চক্রবর্তী জানান, রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী বিধানসভা তে জানিয়েছিলেন পেপার মিলের
পুনরুজ্জীবন জন্যে ১৯০০ কোটি টাকা রিলিজ করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানালেন ৪১৪১ কোটি টাকা মিল দুইটি
তে বিনিয়োগ করা হয়েছে, কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে?
হিসাব দিন বলে দাবি জানান তিনি ন্যাশনাল কোম্পানি অফ ল ট্রাইব্যুনাল
মিল দুটিকে বেসরকারি কোম্পানীর হাতে
তুলে দিয়ে চালাতে বলেছে। শ্রমিক নেতা অভিযোগ
করেন গুয়াহাটির বড়ঝার বিমান বন্দর কে বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী আদানি কে হস্তান্তর
করা হয়েছে। পেপার মিল দুটি ও সরকার জলের দামে কোনো শিল্প গোষ্ঠীকে বিক্রি করে দিতে
পারে। বন্ধ মিল দুটিতে মৃত্যুর মিছিল চলেছে, সরকার নীরব, নির্বিকার।









কোন মন্তব্য নেই