Header Ads

তফশিলভুক্ত মানুষগুলি সরকারী সাহায্য থেকে বঞ্চিত, বিধানসভায় সব বিধায়কের এক সুর





অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি
দেরগাঁও সংরক্ষিত বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ভবেন্দ্রনাথ ভরালি বিধানসভায় ‘স্পিকার ইনেসিয়েটিভ’শীর্ষক আলােচনার সূচনা করেন। অসমের তফশিলভুক্ত জাতি ও উপজাতিগােষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নের উপর আলােচনা করে বলেন, এই জনগােষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে আছে। তাদের উন্নয়নে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তফশিলভুক্ত উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ধেমাজি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক রণােজ পেগু বলেন, সংবিধানের মাধ্যমে তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতি গােষ্ঠীর দাবি দাওয়াগুলি সন্নিবিষ্ট হয়েছে। তাদের সমস্যা বুঝতে গেলে আগে তাদের মনস্তত্ত্ব বুঝতে হবে। এই সম্প্রদায় কমিউনিটি হিসাবে যখন বসবাস করে তখন তাদের নির্দিষ্ট কিছুনীতি-আদর্শ আছে। প্রাকৃতিক সম্পদ আরােহণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রয়ােজন ছাড়া প্রকৃতিকে ধ্বংস করে না। কিন্তু সরকার এই মালিকানার অধীন এই পশ্চাদপদ জনগােষ্ঠীর অধিকার প্রতিপদে লংঘিত হয়। এই জনগােষ্ঠীর সবক্ষেত্রে সংরক্ষণের ফলে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে সংরক্ষণ আছে। অ্যাডমিশনের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ আছে। পরীক্ষায় পাশ করার ক্ষেত্রে সংরক্ষণ থাকা উচিত নয়। যার ফলে অযােগ্যরাও সুযােগ পেয়ে যাচ্ছে। বােকাজান সংরক্ষিত কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক ড. নুমল মমিন বলেন, ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারি তদানিন্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ কোটা সিস্টেম চালু করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ অনুসরণ করে অস্পৃশ্যতা নিবারণের লক্ষ্যে পশ্চাদপদ জনগােষ্ঠীর উন্নয়নে এইব্যবস্থা কার্যকরী করা হয়। রাজ্যে তফশিলভুক্ত জাতি, তফশিলভুক্ত উপজাতির জন্য ১৫-২০ টি আসন সংরক্ষিত হয়েছে। মেডিকেলে সুযােগ দেওয়ার জন্য ৬ শতাংশ সুযােগ দেওয়া হয়েছে। কোটা সিস্টেমের জন্যে যারা স্বচ্ছল আর্থিকভাবে এগিয়ে আছে, তারাও এই সুযােগ পেয়ে গেছে। তফশিলভুক্ত দারিদ্র পীড়িত মানুষ এই সুযােগ নিতে পারেনি। তাদের ভালাে শিক্ষাদীক্ষা নেই। সবদিকেইপিছিয়ে আছে। এই সিস্টেমে যদি বদল না হয়, অস্পৃশ্যতা ঘুচবে না। তফশিলভুক্ত জাতি উপজাতির সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে সুযােগ সুবিধা নেবার প্রবণতা এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতেই হবে। রাজ্যে মিসিং, বড়াে, হাজং, কোচ প্রভৃতি তফশিলভুক্ত জনগােষ্ঠীর মানুষ আর্থিকভাবে জর্জরিত। কাৰ্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদের বার্ষিক বাজেট খুব কম। মাত্র ৩৫০ কোটি টাকা। এই ২৮টি বিভাগকে ভাগ করে দিতে হয়। ১২টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। ২৫-৩০ হাজার ভােটার আছে। ৪০ লক্ষ টাকার বেশি দেওয়া যায় না। তাই এই অর্থ বণ্টন নিয়েও বৈষম্যের অভিযােগ তােলেন বিজেপি বিধায়ক।বকো সংরক্ষিত কেন্দ্রের কংগ্রেস সদস্যা নন্দিতা দাস সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেদকরের এক মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তিনি সব জনগােষ্ঠীর সমান অধিকারের কথা, বর্ণহীন সমাজ ব্যবস্থার কথা বলে গেছেন। যেখানে কোনাে জাত-পাত বা উঁচু-নীচু থাকবে না। উন্নয়নের সুফল সকলেই সমানভাবে ভােগ করবে। তিনি ব্রিটিশ আমলে সুরমাভ্যালি (বর্তমান বরাক উপত্যকা) এবং অসম ভ্যালির জন্য ১৬টি উপজাতি গােষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তার মধ্যে নমঃশূদ্র, সূত্রধর, মালি, কৈবত্ত্য প্রভৃতি জনগােষ্ঠীর উল্লেখ আছে। কিন্তু সেই সব জনগােষ্ঠীর মানুষ তফশিলভুক্তের সুযােগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কৈবত্ত্য সম্প্রদায় মাছের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে। স্থানীয় উৎপাদিত মাছ সংরক্ষণের জন্য বছরে তিনমাস মাছের ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়। এই সময় আগে ৩০০ টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। বর্ধিত হারে সেই পারিশ্রমিক দেবার দাবি জানান মৎস্যমন্ত্রীর কাছে। কৈবত্ত্য সম্প্রদায়ের মহিলা মাছ ব্যবসায়ীদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, তাদের সরকারিভাবে কোনাে সাহায্য প্রদান করা হয় না। নন্দিতা দাস ওদালগুড়ি, কোকরাঝাড়, চিরাং প্রভৃতি অঞ্চলে তফশিলভুক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ডাইনি হত্যা বন্ধ করা যাচ্ছেনা বলে অভিযােগ করেন। অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কারের ফলে তা ঘটেই চলছে। নন্দিতা দাস এই সম্প্রদায়ের একজন মন্ত্রী রাখার দাবি জানান। নাওবৈসার এআইইউডিএফের বিধায়ক মামুন ইমদাদুল হক চৌধুরী তথ্য সহকারে রাজ্যের তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতি আর্থ সামাজিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, অসমে তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতির মধ্যে কৈবত্ত্য সম্প্রদায়ের মানুষ আছে প্রায় ৩০ শতাংশ। কাছাড়ে আছে ১৪ শতাংশ। করিমগঞ্জে আছে ১৩ শতাংশ। রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, বৌদ্ধ, শিখ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষেরাও তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতি ভুক্ত। ৩৪.৪ শতাংশ তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতি গােষ্ঠীর মধ্যে এক বৃহৎসংখ্যক মানুষ স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করেন। তারাও এই সুযােগ নিচ্ছে। তিনি তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতিগােষ্ঠীর সার্টিফিকেট সংগ্রহের নামে নানা ভুয়াে নথিপত্র দাখিল করে এই সুযােগ নিচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে। এই উপজাতি গােষ্ঠীর মন্ত্রী বিধায়ক, আইএএস অফিসারের ছেলেমেয়েরাও এই সুযােগ নিচ্ছে। যা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। মঙ্গলদৈ-র সংরক্ষিত কেন্দ্রের বিজেপি সদস্য গুরুজ্যোতি দাস অভিযােগ করেন, এই জনগােষ্ঠীর মানুষের হাতে এক বিঘা করে জমিও নেই। জমির পাট্টাও তারা পাচ্ছে না। তফশিলজাতি-উপজাতির জন্য পৃথক সঞ্চালকালয়ের স্থাপনের দাবি জানান তিনি। আজ বিধানসভায় বরাকের রাতাবাড়ি সংরক্ষিত কেন্দ্রের বিজেপি সদস্য বিজয় মালাকার প্রথম বিধানসভায় বাংলায় ভাষণ দিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতির জন্য যথপােযুক্ত আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রকৃতার্থে এই তফশিলভুক্ত অঞ্চলগুলি আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যসম্প্রদায়ের মানুষ সেই সুযােগ মুনাফা লুটছে। উদাহরণ হিসাবে তিনি রাতাবাড়ি অঞ্চলের শােণবিলের কথা উল্লেখ করেন। ওই অঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার তফশিলভুক্ত মানুষের বাস। অথচ তাদের সব সুযােগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। তিনি করিমগঞ্জ শহরে তফশিলভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণের দাবি জানান। তিনি বলেন, ৪০৫০ আগে নির্মিত এক পুরনাে ছাত্রাবাস আছে, সেখানে দু-তিনজনের বেশি থাকার জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, বরাক উপত্যকায় এক লক্ষের মতাে তফশিলভুক্ত ভােটার আছে। তফশিলভুক্ত অঞ্চলগুলােকে চিহ্নিত করে তাদের আর্থিক সাহায্যের দাবি জানান। এই সম্প্রদায়ের সার্টিফিকেট সংগ্রহের নামে বহু জালিয়াতির অভিযােগ আছে। তা উপযুক্ত তদন্ত করে ভুয়াে সার্টিফিকেটগুলি বাতিল করার দাবি জানান। উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস সদস্য কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ তিনি তার ভাষণের প্রারম্ভে এআইইউডিএফের সমালােচনা করে বলেন, এই দলের সদস্য আমিনুল ইসলাম গতকাল বিধানসভায় বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাঙালিদের কটাক্ষ করেছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শাস্ত্রী সূত্র মতে, অসমে তিনটি ভাষা সরকারিভাবে স্বীকৃত। বরাক উপত্যকায় বাংলা, কাৰ্বি আংলং, ডিমাহাসাও ও বিটিএডি অঞ্চলে ইংরেজি ভাষা এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় অসমিয়া ভাষা সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃত ভাষা। সেকথা আমিনুলবাবুরা ভুলে গেছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বিহার সিকিম ও অন্যান্য রাজ্যের তুলনা দিয়ে বলেন, বিহারের চারটি সরকারি ভাষা, সিকিমে ১১টি সরকারি ভাষা আছে। সে সব আইন না জেনে আমিনুল ইসলাম যে সব মন্তব্য করেছেন, তা খুবই দুঃখজনক। তফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতি গােষ্ঠীর পশ্চাদপদতা এবং দারিদ্রতার নানা প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তাদেরকে ১ শতাংশ হারেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাদেরকে মূল স্রোতে জায়গা করে দেওয়ার জন্য এই পিছিয়ে পরা উপজাতি গােষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। তিনি অভিযােগ করেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জীনবায়নের নামে তফশিলভুক্তদের হেনস্থা করা হয়েছে। এনআরসি-তে নাম তুলতে করিমগঞ্জ থেকে ডবকাতেও যেতে হয়েছে। উপযুক্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও এই উপজাতি গােষ্ঠীর বহু মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের সংখ্যা প্রায় ২৭ জন। করিমগঞ্জ জেলার শনবিল অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ তফশিলভুক্ত জনগােষ্ঠীর বাস। তাদেরকে নানা ভাবে। বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেদকরের স্বপ্ন সফল করতে হলে এই পিছিয়ে পরা জনগােষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে হবে। জোনাই সংরক্ষিত কেন্দ্রের নির্দল সদস্য ভূবন পেগু অভিযােগ করেন, ছােটখাটো নানা ভুল সংশােধন করে এই জনগােষ্ঠীকে সহায়তা করছে না সরকার। মিসিং মানুষদের অনেক ক্ষেত্রে ‘মিরি’ শব্দটি উল্লেখ করা হচ্ছে। কাছারি ক্ষেত্রে ‘ঠেঙাল’ কথাটি লাগিয়ে দিতে লাগে। এই সব ছােটখাটো সংশােধন হচ্ছেনা। সংবিধানের ৭৩ তম সংশােধনের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। কিন্তু তফশিলভুক্ত জনগােষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত অঞ্চলগুলি শক্তিশালী করা হয়নি। আজও এই জনগােষ্ঠীর মানুষ সবধরনের সুযােগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিজনীর বিপিএফ সদস্য কমল সিংনার্জারি এনআরসি-র নামে হাজার হাজার তফশিলভুক্ত সম্প্রদায়ের মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযােগ করেন। অনেককে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিনা শর্তে এই বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান তিনি। রাজধানী দিসপুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই অঞ্চলে বড়াে-কাছাড়িদের স্থায়ী আবাস ছিল। তাদেরকে উচ্ছেদ করা হল। গত্যন্ত না পেয়ে এই উপজাতি মানুষগুলি পাহাড় অঞ্চলে গিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হলেন। বড়াে-কাছাড়ি উপজাতি উন্নয়নে সরকারের গঠিত স্বশাসিত পরিষদ তরুণ গগৈ সরকার গঠন করেছিলেন। তা আজও বাস্তবায়িত হল না। ৬টি উপজাতি গােষ্ঠীকে তফশিলভুক্ত করার দাবিও পূরণ হল না। ২০০৫ সালে ফরেস্ট আইন অনুযায়ী উপজাতি গােষ্ঠীকে বনাঞ্চলে জমি দেওয়ার, মাটির পাট্টা দেওয়ার সরকারি কর্মসূচিও আজও কার্যকর হল না। তিনিও ভুয়াে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে অতফশিলভুক্ত জাতি-উপজাতির সুযােগ নেওয়ার অভিযােগ তােলেন। হাওরাঘাট সংরক্ষিত কেন্দ্রের বিজেপি সদস্য জয়রাম ইংলেং জানান, অসমে প্রায় ৪০ লক্ষ উপজাতি মানুষ আছে। মদাহী, লস্কর প্রভৃতি তফশিলভুক্ত মানুষগুলি প্রত্যন্তর অঞ্চলে বসবাস করার ফলে সব ধরনের সুযােগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করলে রাজ্যে তফশিলভুক্ত মানুষের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। মরিয়নির কংগ্রেস সদস্য রূপজ্যোতি কুর্মি তফশিলভুক্ত মানুষদের কল্যাণে এক সঞ্চালকালয় গঠনের দাবি জানান। ১৮২৬ সালে প্রায় ২০০ বছর আগে ছােটনাগপুর থেকে আসা অসমের চা জনগােষ্ঠীর মানুষগুলিকে আজও তফশিলভুক্ত করা হল না বলে অভিযােগ করেন। তিনিও ভুয়াে সার্টিফিকেট গ্রহণ করে সুযােগ-সুবিধা লাভ করা মানুষগুলিকে ‘ফাস্ট ট্রাক’ আদালত গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। আমগুরির অগপর সদস্য প্রদীপ হাজরিকা অভিযােগ করেন, তফশিলভুক্ত জাতি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত শূন্য পদগুলি আজও পূরণ করা হচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে তা পূরণের দাবি জানান। বরচোলার বিজেপি সদস্য গণেশ কুমার লিম্বু অভিযােগ করেন, তারা ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা ছাড়াও তামাং রাও এই সম্প্রদায়ের। অথচ আজও তাদের এই সুযােগ থেকে বঞ্চিত করে রাখা রয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে তাদেরকে তফশিলভুক্তি হিসাবে সুযােগ দেওয়া হয়েছে। পাথারকান্দির বিজেপির সদস্য কৃষ্ণেন্দু পাল অভিযােগ করেন, জনগণনার সময় তফশিলভুক্ত হিসাবে নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ‘আয়ুস্মান ভারত’র মতাে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলির সুযােগ সুবিধা নিতে পারছেনা।উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় বহু সুযােগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বরাকের অন্য দুই সদস্যের মতাে বাংলায় ভাষণ দিয়ে তফশিলভুক্ত মানুষদের অভাব-অভিযােগের কথা তুলে ধরেন। তিনি পশ্চাদপদ রবি দাস সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করেন। করিমগঞ্জের শনবিল অঞ্চলের তফশিলভুক্ত জনগােষ্ঠীর জন্য সব ধরনের সরকারি সাহায্য প্রদানের দাবি জানান। তিনিও তফশিলি নামে ভুয়াে সার্টিফিকেট সংগ্রহের অভিযােগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ গােস্বামী হস্তক্ষেপ করে বলেন, কাছাড়ের শনবিলের কথা তিনি সরকারকে জানিয়েছেন। আশা করি, সরকার শনবিল উন্নয়নে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অগপর রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা রাজ্যে ট্রাইবেল ব্লক এবং ট্রাইবেল বেল্টগুলি বেদখল হয়ে গেছে ও অউপজাতির মানুষ ভােগ দখল করছে বলে অভিযােগ করেন। তিনি এব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের দাবি জানান। আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন। অর্থ মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার অনুপস্থিতিতে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারি বিধানসভায় ‘দ্য আসাম গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস টেক্স (এমেণ্ডমেন্ট) বিল ২০১৯’বিবেচনার জন্য পেশ করেন। এবং‘দ্য আসাম টেক্সেসন (লিকুউডেশন অফ এরিয়ার ডিউজ) (এমেণ্ডমেন্ট) বিল ২০১৯’ পেশ করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.