Header Ads

বিদ্যুপৃষ্ঠ হয়ে সর্বমােট মৃত্যু ৩১৯ জন বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিতে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে

অমল গুপ্ত
অসমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সর্বমােট ৩১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগ এপিডিসিএল-এর ভুলে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধানসভায় মঙ্গলবার কংগ্রেসের কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারি এই তথ্য দিয়ে জানান, সর্বমােট ৩১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য ভুলের জন্য মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জন। কর্মরত অবস্থায় স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীর মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। ১১৩ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এপিডিসিএল-র ভুলের জন্য মৃত্যু হওয়া ১২৯ জন এবং স্থায়ী অস্থায়ী কর্মী ১১ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, করিমগঞ্জ জেলায় বিশেষ করে উত্তর করিমগঞ্জে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ার এর পরিবাহী তার খুলে যাওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন বাঁশের খুঁটার বদলে কংক্রিটের খুঁটি লাগানাে হয়েছে। তিনি জানান, করিমগঞ্জে বৈদ্যুতিক সংমণ্ডলের ২৫কেভিএ ৬টি, ৬৩কেভিএ ৬০টি, ১০০কেভিএ ৬০টি এবং ২৫০কেভিএ ২৫টি ট্রান্সফর্মার বসানাে হয়েছে। নন্দিতা দাসের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, রাজ্যে বর্তমানে গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ১৯৫০ থেকে সর্বনিম্ন ১২৫০ এবং শীতকালে সর্বোচ্চ ১৪৫০ মেগাওয়াট থেকে সর্বনিম্ন ৭৫০। রাজ্যে নিজস্ব উৎপাদন ২৫০ থেকে ২৭০ মেগাওয়াট। ডিব্রুগড়ের নামরূপ তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প উৎপাদন করে ৩৫ থেকে ৪০ মেগাওয়াট। চরাইদেওয়ের লাকোয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প উৎপাদন করে ১১০ থেকে ১২৫ মেগাওয়াট। পশ্চিম কাৰ্বি আংলঙের কার্বি লাংপি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উৎপাদন করে ১০০ মেগাওয়াট এবং পশ্চিম কাৰ্বি আংলঙের মিট্ৰাং ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (১ ও ২) উৎপাদন করে ৪.৫ মেগাওয়াট। বর্তমানে অসমে সর্বমােট ৬০,৩০,৩৬৩ সংখ্যক লােকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযােগ আছে। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২০০০০০ ঘরে বিদ্যুৎ সংযােগ স্থাপন করা হয়নি। বর্তমানে ৭৫,০৫৫ সংখ্যক ঘরে বিদ্যুৎ যােগান ধরা হয়েছে। বাকি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হবে। প্রবীন্দ্ৰ ডেকার এক প্রশ্নের জবাবে চন্দ্রমােহন পাটোয়ারী জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সৌভাগ্য যােজনার অধীন সব গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে যাবে। এই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারের ২০১৮-১৯ সালে ব্যয় হয়েছে। ১৫৭৬.১৮ কোটি টাকা। এবং ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সরকার রাজস্ব হিসাবে পেয়েছে ৫০৭৩ কোটি এবং ৪৭৫৯ কোটি টাকা। | আজ বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় নেতা দেবব্রত শইকিয়া এক বেসরকারি সংকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সারদা, রােজভ্যালি প্রভৃতি কোম্পানি রাজ্যের হাজার হাজার মানুষকে ঠগিয়ে মানুষকে বহু টাকা তুলে নিয়ে পালিয়েছে। বহু মানুষকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে হয়েছে। এব্যাপারে সরকার কোনাে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এই সিরিয়াস বিষয়টি নিয়ে আলােচনা দাবি জানান তিনি। বিধানসভার শেষের দিকে এই প্রস্তাব পাঠ করার পর অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গােস্বামী জানান, আগামী অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.