Header Ads

অসমের মাটিতে জৈবিক সার, তাই সবুজ এই মাটির ফসল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে


অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি
বিধানসভায় অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ গােস্বামী তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনমুযায়ী বিধায়া তাদের অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বলার অধিকার পান। বিভিন্ন সদস্যরা তাদের এলাকার নানা সমস্যা তুলে ধরেন। গুরুজ্যোতি দাসের উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী অতুল বরা কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়ালের উদ্যোগে রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতাে কৃষকরা জমিতে বিভিন্ন রসায়ন সার প্রয়ােগ করে জমির কার্য ক্ষমতা হ্রাস করে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে অসমের মাটি এখন সবুজ। এখানে অর্গানিক সার ব্যবহার করা হয়। এই মাটি থেকে আদা, হলুদ প্রভৃতি উৎপাদন করে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে রপ্তানি করা হচ্ছে। এখানে কর্মসংস্থানের অভাব। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেশি। ৮৫ শতাংশ কৃষিজীবি। তাই কৃষির উপর নির্ভর করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তিনি স্বীকার করেন, কৃষকদের সাজ-সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু দুর্নীতি হয়েছে। তা মেনে নিতেও হচ্ছে। তবে ক্রমশ বন্ধ করা হচ্ছে। তিনি জানান, ডিমাহাসাওয়ে হটি কালচার কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি জেলাতে মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে। খারুপেটিয়াতে একটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন শাক সজি রাখা যাবে। লখিমপুরের অন্যতম আনারস, লেবু বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী লুক ইস্ট পলিসি পাল্টিয়ে এ্যাক্ট ইস্ট পলিসি করার ফলে রাজ্যে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতি জেলাতে একটি করে অর্গানিক বাজার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মৎস্য মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য রাজ্যের মৎস্য সংস্থার নানা দিক তুলে ধরে বলেন, রাজ্যে ঘরে ঘরে পুকুরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য দশ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ঘরে ঘরে পুকুরের জন্য প্রথম কিস্তির টাকাও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পেঁৗছিয়ে দেবার চেষ্টা হচ্ছে। দশ হাজার পুকুর জরিপ করা হয়েছে। ৭ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ঘরােয়াভাবে ২২৫টি পুকুরের কাজ শুরু করা হয়েছে। পাঁচটি সরকারি ফার্ম আছে। ২২৭জনকে রহাতে রহাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুগ্ধ সরবরাহের জন্য গাে পালনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনস্বার্থ কারিগরী মন্ত্রী ঘােষণা করেন, ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি জনের ঘরে ঘরে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। জল প্রকল্পগুলি দেখভাল করার জন্য একটি করে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটি জল সরবরাহ প্রকল্পগুলি দেখভাল করছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.