Header Ads

উমানন্দ ঘাটে উদ্ধার দেবদেবীর বৃহৎ সংখ্যক মূর্তি



দেবযানী পাটিকর।

নগরের উজান বাজারের  উমানন্দ ঘাটে শনিবার ,৩৭ টি ভগবানের মূর্তি উদ্ধার  করা হয়। এদিন দুপুর একটার সময় সানু আলী নামের এক ব্যক্তি  ফেরিঘাটের পাশে চায়ের দোকানে কাজ করে ,ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল। স্নান করার সময় তার পায়ে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত লাগে। তখন সে আরো জলের নিচে গিয়ে সে জিনিসটা দেখার চেষ্টা করে এবং একটি শিবের মূর্তি উদ্ধার করে এর সাথে আরো একটি মূর্তি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়  । মূর্তি গুলি উদ্ধারের পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং  খবর পেয়ে লতাশীল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এসডিআরএফ এর সহায়তায় ৩৭টি মূর্তি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মূর্তিগুলো পিতলএবং মার্বেলের। এই মূর্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণ ,গণেশ, লক্ষী নারায়ন ,কালী,সরস্বতী, বুদ্ধ ইত্যাদির সাথে রয়েছে চারটি ত্রিশূল ও তিনটি ফলক।পুলিশের সন্দেহ যে চোরে চুরি করে এনে মূর্তিগুলো এখান থেকে লুইতের বুকে  ফেলে দেওয়া হয়েছে।সমস্ত  মুর্তিগুলিকে উদ্ধার করে লতাশীল থানায় রাখা হয়েছে ।



ইতিমধ্যে সংবাদ-মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে এরমধ্যে একটি মূর্তি সনাক্তকরণ হয়েছে ।বেলতলার নরেন্দ্র কুমার শীল নামে একজন লোক লতাশিল থানাতে এসে উপস্থিত হয়ে চুরি যাওয়া গণেশের মূর্তি তার বলে দাবি করেন। তিনি বলেন গত ১৮ অক্টোবরের বেলতালার তার।বাড়ির পাশে স্থিত মন্দির থেকে সোনার নেকলেস সহ গণেশের মূর্তি ,লক্ষী ,নারায়নের মূর্তি এবং দানপত্র চুরি হয়ে গেছিল এ সম্পর্কে তিনি দিসপুর থানাতেও তিনি এক মামলা রুজু  করেছেন। উল্লেখযোগ্য রবিবার লতাশীল পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্ত শনিবার থেকে উদ্ধার করা মূর্তি সমূহ পরিদর্শন করে যারা মূর্তিগুলি উদ্ধার করেছিল তাদের ভুয়শী প্রশংসা করেন তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে তদন্তর স্বার্থে বিশেষ কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। ওদিকে এসডিআরএফ বাহিনী রবিবারও তল্লাশি অভিযান  চালিয়েছে।পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার বলেন যে হয়তো মন্দির থেকে মূর্তি গুলি চুরি করে পরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে মন্দিরের চুরির সমস্ত কেসগুলো খতিয়ে দেখা হবে।পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.