Header Ads

'বাংলা ফেট্টিবাজদের জায়গা নয়' , এনআরসি নিয়েও বাংলা থেকে হুঙ্কার মমতার !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

দিল্লিতে এদিন উত্তাল সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তা পেশ হতেই সংসদ কক্ষে কার্যত বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লি যখন নাগরিকত্ব বিল ইস্যুতে তোলপাড়, তখন অসমে বিলের বিরোধিতায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তারই মাঝে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের জনসভা থেকে মমতা হুঙ্কারের সঙ্গে বলেন 'ফেট্টিবাজ' দের রাজনীতি বাংলার তিনি হতে দেবেন না।

'নো এনআরসি' হুঙ্কার মমতার--
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমরা সবাই এক...কেউ আপন কেউ পর নয়। আমরা সবাই এক ! .. আসুন জোট বাঁধি, একটা লোককেও দেশ থেকে তাড়ানো চলবে না। নো এনআরসি। কোনও বিভাজন হবে না। নো ডিভাইড অ্যান্ড রুল।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'যাঁর যতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকুক। মনে রাখবেন , দেশের থেকে বড় কিছু নয়। সিএবি আর এনআরসি কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ।' তাঁর দাবি, প্রত্যেকেই দেশের নাগরিক। সকলের কাছেই নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কিছু না কিছু রয়েইছে। আর তা দিয়েই নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যাবে।
'কে কী খাবে, পরবে ঠিক করবে অন্য কেউ'--
এদিন মমতা বলেন, দেশে কে থাকবে আর থাকবে না, কে কী খাবে না খাবে তা কেন ঠিক করবে অন্য কেউ। এ প্রসঙ্গে তিনি অসমে এনআরসিতে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। আর সেক্ষেত্রে ফের তিনি বলেন, কেন্দ্রের উচিত এসব না করে মানুষের রুটি কাপড়ের ব্যবস্থা করা।
'সারা দেশে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বাড়লেও, বাংলায় কমেছে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব'--
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা দেশে বাংলা নির্দশন হয়ে রয়েছে। গোটা দেশে ৪০ শতাংশ যেখানে বেকারত্ব বেড়েছে সেখানে বাংলায় কমেছে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব। যা সারা দেশের কাছে একটি সাফল্যের অধ্যায় হয়ে রয়েছে।
'ফেট্টিবাজদের জায়গা নয় বাংলা '--
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা মঞ্চ থেকে বলেন, 'বাংলার সংস্কৃতি ফেট্টিবাজদের জায়গা নয়।' বাংলা মনীষীদের জায়গা বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। মমতা বলেন, 'আমরা থাকাকালীন কারো কোনও ক্ষমতা নেই যে আপনাদের ওপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেবে জোর করে।'

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.