মারবেন নাকি, মারুন, আপনারা তো শুধু মারতেই পারেন, সৌগতের বার্তা সংসদে
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হল সংসদে। এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিল পেশ করার পরই একযোগে বিরোধিতা করে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেরা। গর্জে ওঠেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীও।
বিলের বিরোধিতায় সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায়। সৌগত রায় বলতে উঠলেই বিজেপি সাসংদরা তাঁকে বাধা দেন। সৌগত রায় বলেন, সংবিধান-সংকট তৈরি হবে এই বিল পাস হলে। তখনই সৌগত রায়কে বাধা দিয়ে রে-রে করে ওঠেন বিজেপির সাসংদরা। সৌগত রায় তখন বলে ওঠেন,মারবেন নাকি, আসুন মারুন, আপনারা তো শুধু মারতেই পারেন ! এছাড়া কিছুই করতে পারেন না।
তারপরও বিজেপি বিধায়করা হল্লা বজায় রাখেন তৃণমূল সাংসদ বলার সময়। তিনি বাধ্য হয়েই স্পিকারকে বলেন, স্যর, আমাকে বলতে দেওয়া হোক। সৌগত রায় বলেন, সংসদীয় রীতিনীতি না মেনেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী নিজে উঠে বাধা দিচ্ছেন বিরোধী বক্তব্যে।
এদিন সংসদে বিল পেশ হওয়ার পরই জমজমাট বিতর্ক হয় সংসদে। নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ নিয়েই বিতর্ক চরমে ওঠে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে? লঙ্ঘন করে সাম্যের অধিকার?
এর আগে নাগরিকত্ব আইন পাঁচবার সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধন করা হয়েছে ১৯৮৬, ১৯৯৫, ২০০৩, ২০০৫ ও ২০১৫ সালে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে তিনবার এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে দু-বার সংশোধন হয় নাগরিকত্ব বিল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি মুসলমানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। ভারতীয় সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই জাতীয় বৈষম্য অসাংবিধানিক। সংবিধানের অন্যতম ভিত্তি হল এই ১৪ অনুচ্ছেদ। এতে বলা হয়েছে, আইনের সামনে রাষ্ট্র কোনও ব্যক্তির সমতা বা ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে আইনগুলির সমান সুরক্ষা অস্বীকার করবে না।
কোন মন্তব্য নেই