Header Ads

অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্মদাতা মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্মদেন নি, শুধু গুড়িঁয়ে দেবার কথা বলেছিলেন


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটীঃ
অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেবার অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  অসমে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিলেন, পরে সেই অঙ্গীকার বেমালুম ভুলে যান। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী জানান দেশে ডিটেনশন সেন্টার নেই।  অসমে তরুণ গগৈই নেতৃত্বধীন কংগ্রেস সরকার রাজ্যে প্রথম ডিটেনশন সেন্টারের জন্ম দেন। গত ২০১২ সালের ২০ অক্টোবরে তার সরকারের হোম ও পলিটিক্যাল বিভাগ এক  হোয়াইট পেপার প্রকাশ করে। সেই বিদেশি ইস্যুর উপর প্রকাশ করা হোয়াইট পেপারের ৩৭ নম্বর পাতায় ৪.৪ প্যারাতে অসমে ডিটেনশন সেন্টার এর কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন সেন্টারে  ৬৬ জন, কোকড়াঝার ডিটেনশন সেন্টারে ৩২ জন এবং শিলচর সেন্টারে ২০ জন বিদেশী বন্দি আছে। অবশ্য পৃথক ভাবে নয়, তিন জেলার কারাগারে আলাদা এক ঘরে বন্দীদের রাখা হয়েছে। জেলে বন্দি চোর, ডাকাত অপরাধীদের সঙ্গেই তাদের রাখা হয়েছে, কারা বিভাগের মন্ত্রী অকন বরা বিধানসভায় জানিয়েছিলেন বন্দি  পিছু প্রতি দিন মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করা হয়। প্রথম থেকেই তথাকথিত এই সব বন্দীদের চূড়ান্তভাবে অবহেলা করা হয়েছে, বিজেপি সরকারের সময়েও একই অবস্থা। বিনা চিকিৎসায়, উপযুক্ত খাবারের অভাবে ২৭ জন ডিটেনশন ক্যাম্প এ মারা গেছে বলে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্প মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী জানান। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈই  তার প্রকাশিত পেপার এ বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৪৬ সালের ফরেনার আইনের ৩(২) ধারার প্যারার ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৯৪৮ বিদেশী আইন এ ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্যে আদেশ দিয়েছে। সেই আদেশ পেয়ে বিদেশিদের আঙুলের ছাপ ও ছবি নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। ডিটেনশন ক্যাম্প এর জন্ম দেন তরুণ গগৈই সরকার আর ডিসপিউটেট বা ডাউট ফুল ‘ডি’ ভোটারের জন্ম দেন অগপ মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত। ১৯৯৭ সালে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে টি এন সেশন থাকার সময় আসু সহ জাতীয়তাবাদী সংগঠনের অভিযোগ অনুযায়ী ভোটার  তালিকা নতুন করে পরীক্ষা করা হয়। বাঙলি হিন্দু মুসলিম দের পদবি দেখে দেখে রুল দিয়ে নামের পাশে ‘ডি’ মার্ক দেওয়া শুরু হয়। সেই সুত্র পাত। আজও ১ লাখের বেশি ডি ভোটার আছে। রাজ্যের ৬ টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ৯৮৮ জনকে বন্দী করি রাখা হয়েছে। কোকরাঝার, ডিবরুগড়, তেজপুর, শিলচর, গোয়ালপারা এবং যোরহাটে ডিটেনশন ক্য়াম্প আছে। বিজেপি সরকার আরও ১০ টি ডিটেনশন ক্য়াম্প তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্য়ে গোয়ালপারা জেলার মাটিয়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্য়ে ৩ হাজার বন্দীকে রাখার জন্য়ে ডিটেনশন ক্য়াম্প তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ৪৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা মনজুর করেছে। অসম পুলিস হাউসিং বোর্ড এই ক্য়াম্প নির্মাণ করছে। ১৯৯৭ থেকে  সাংবিধানিক অধিকারের মতো ভোট দানের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। না কংগ্রেস, না বাম দল, না এ আই ইউ ডি এফ, না অগপ না বিজেপি কোনও দলের মাথা ব্যাথা নেই, কারণ ভোট দানের অধিকার থেকে বঞ্চিত সবাই বাঙলি।
প্রস্তাবিত দেশের মধ্য়ে বৃহত্তম গোয়ালপারার মাটিয়ায় নির্মাণরত ডিটেনশন ক্য়াম্প

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.