Header Ads

তৃণমূলকে ‘জুজু’ দেখাতে নতুন বছরেই মিমের বাংলা-প্রবেশ, ২১ জেলায় তৎপরতা তুঙ্গে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশনি সংকেত পাঠাচ্ছেন মিম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। নতুন বছরের শুরুতেই তিনি বাংলায় তাঁর দলের শাখা খুলতে চাইছে্ন। বাংলার বুকে নিজেদের জমি শক্তি করার কাজ অনেদিন ধরেই করে চলেছেন তিনি। কিন্তু সে অর্থে জমি পাননি। এবার মমতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে চাইছেন তিনি।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ওয়াইসি। এবার বার্তা দিলেন বাংলায় মিমকে মজবুত করার। সম্প্রতি মালদহে মিম কর্মী মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে। মিমের রাজ্য সভাপতি বলেন, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের উপর যথেচ্ছ আক্রমণ চালানো হচ্ছে। 
তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসেই আমরা ব্রিগেড সমাবেশ করব। এই সমাবেশ থেকে রাজ্যে মিমের অগ্রগতি শুরু হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২১টি জেলায় আমাদের শাখা রয়েছে। প্রতি ব্লক-ওয়ার্ডে আমাদের কর্মী রয়েছে। রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার নেতা-কর্মী রয়েছে। ফলে ক্ষেত্র প্রস্তুতই আছে। শুধু সেই ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার কাজটা বাকি। 
এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল হিন্দুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। কিন্তু মমতার কাছে বর্তমানে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে মুসলিম ভোট। বিজেপি যেমন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল, তেমনই উগ্র মৌলবাদী দল হল মিম। আসাদউদ্দিন ওয়েসির বাংলায় প্রবেশ মমতার সংখ্যালঘু ভোটের কাছে তাই কাঁটা-স্বরূপ। 
বর্তমানে প্রায় ৩১ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে বাংলায়। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত এই সম্প্রদায় বামফ্রন্টের দিকে ছিল। ২০১১ সাল থেকে তা পুরোপুরি তৃণমূলের দিকে চলে এসেছে। এখন মিম প্রবেশ করা মানে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়ে যাবে। সেটা তৃণমূলের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে যাবে। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা ভালভাবেই জানেন যে, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রায় ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্র মুসলিম ভোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে এই ভোট ভাগাভাগি বড় ফ্যাক্টর হতে পারে ২০২১-এর নির্বাচনে। বিজেপিকে বিশাল সুবিধা করে দিতে পারে মিম। তাই আগাম মিমকে সতর্ক করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ওয়েইসি আসলে বিজেপির দালাল। 
বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, মুসলিম ভোট বিভক্ত হলে, বাংলায় তৃণমূল-রাজ শেষ হয়ে যাবে। বিজেপি সঠিক সময়েই মোক্ষম চালটা দিয়েছে। মমতা তাই এখন হিন্দু ভোটের দিকে বেশি করে নজর দিয়েছেন। কারণ বিজেপিকে হারাতে গেলে হিন্দু ভোটকে আরও বেশি পরিমাণ নিজেদের দিকে আনা জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.