Header Ads

তেলেঙ্গানা এনকাউন্টারে প্ৰশংসা এবং নিন্দায় তোলপাড় গোটা দেশ

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ তেলেঙ্গানায় পুলিশের এনকাউন্টারের পর পুলিশের প্ৰশংসায় তোলপাড়  গোটা দেশ। হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসকের বাড়ির সামনে শুক্ৰবার সন্ধায় তেলেঙ্গানা পুলিশের প্ৰশংসায় হাতে হাতে মোমবাতি নিয়ে মিছিল বেড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজের টুইটারে বলিউড তারকা থেকে শুরু করে অনেকেই পুলিশের এহেন পদক্ষেপের প্ৰশংসা জানিয়েছেন। এনকাউন্টারের খবর পেয়ে এদিন সকালে নিৰ্যাতিতার বাবা বলেছেন তার মেয়ে শান্তি পাবে।
মোদির নিৰ্বাচনী কেন্দ্ৰ বেনারসে এনকাউন্টারের খবর পেয়ে মিস্টি হাতে পথে নেমে পড়েন বিজেপির প্ৰমিলা বাহিনী।


 ছবি, সৌঃ এএনআই
কিন্তু তার মধ্যেও এভাবে আইন হাতে নেওয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়েও প্ৰশ্ন উঠেছে।  এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাৰ্তা- নারীদের ওপর যে কোনও ধরনের অত্যাচার যেমন তিনি সহ্য করেন না, তেমনই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াকেও সমৰ্থন করেন না। একইসঙ্গে উন্নাও ধৰ্ষণ কাণ্ডে নিৰ্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনাকেও তীব্ৰ নিন্দা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্ৰী। 

অন্যদিকে তেলেঙ্গানা এনকাউন্টার কাণ্ডে তৃণমূল সুপ্ৰিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পূৰ্ণ উল্টো সুর শোনা গেল দলের একাংশ সাংসদদের মুখে। তৃণমূল নেত্ৰী বিচার ব্যবস্থার প্ৰতি আস্থা রাখার কথা বললেও এ নিয়ে ভিন্ন মত প্ৰকাশ করেছেন দেব, নুসরত, মিমি। টুইটারে হায়দরাবাদ পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেব। দেব বলেছেন-‘ এর প্ৰয়োজন ছিল’। এর নুসরতের টুইটেও একই বাৰ্তা পাওয়া গেছে।  তবে দেব বা নুসরতের টুইট বাৰ্তা আসে মমতার সভার আগে। এরপর তেলেঙ্গানা পুলিশকে প্ৰশংসা করে মিমি টুইট বাৰ্তায় দিয়েছেন- ‘এ বার তোমার আত্মা শান্তি পাবে।’

 ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
এদিনের ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় আনন্দ প্ৰকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন বলিউডের তারকা। অভিনেতা ঋষি কাপুর টুইটে লিখেছেন- ‘ ব্ৰ্যাভো তেলেঙ্গানা পুলিশ। মাই কংগ্ৰেচুলেশনস!’
অভিনেত্ৰী রকুল প্ৰীত সিং টুইটারে লিখেছেন- ‘ বলাৎকারের মতো অপরাধ করে তুমি কত দৌড়াবে? ধন্যবাদ তেলেঙ্গানা পুলিশ।’ অভিনেতা অনুপম খের লিখেছেন-‘ ধৰ্ষিতাকে হত্যা করার জন্য তেলেঙ্গানা পুলিশের ‘জয় হো’। যারা এধরনের ঘৃণ্য অপরাধকারীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এবং তাদের কড়া শাস্তি চেয়েছিলেন, সবাই আমার সঙ্গে বলুন # জয়হো। ’

এই ঘটনার পর পুলিশের বিপক্ষে নিন্দা করেছেন অনেকেই। বিজেপি সাংসদ মেনকা গাঁধী বলেন,‘‘যা হয়েছে তা এই দেশের জন্য ভয়ানক।... চাইলেই যাকে খুশি এ ভাবে মারতে পারেন না আপনি। আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। আদালতে তো ওদের (অভিযুক্তদের) ফাঁসিই হত।’’

গত ২৯ নভেম্বর হায়দরাবাদের শামশাবাদে পশু চিকিৎসক তরুণীকে গণধৰ্ষণ করে খুন করে চার অভিযুক্ত। এরপর ঘটনাস্থল থেকে কিছুদূরে সাদনগরে পুড়িয়ে ফেলে তরুণীর দেহ।  চার অভিযুক্তের নাম ক্ৰমে মহম্মদ আরিফ, জল্লুশিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলু।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.