Header Ads

রাজ্যে 'কা' বিরোধী আন্দোলন চলছে, খিলাঞ্জিয়া, ভূমিপুত্র দের ভাষা হবে অসমীয়া, জমির অধিকার ও সুনিশ্চিত করল ক্যাবিনেট



অমল গুপ্ত গুয়াহাটীঃ সি এ এ র বিরুদ্ধে সারা দেশের সঙ্গে অসমেও আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনের মধ্যে অসমের বিজেপি সরকার আজ ক্যাবিনেট কমিটিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গ্রহণ করলেন, যা বাস্তবায়িত হলে আন্দোলন কিছুটা দমে যাবে তা সুনিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে। আসু ও অন্যান্য দল সংগঠন প্রায় ১০ দিন ধরে আন্দোলন করে অসমীয়া, খিলাঞ্জিয়া বা ভূমি পুত্রের জমির অধিকার ভাষার অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে,তাদের আশঙ্কা বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বাঙলি রা এসে অসম দখল করে নেবে। সেই আশঙ্কা দূর করতে অসম সরকার অসমীয়া ভাষা কে রাজভাষা হিসাবে গণ্য করার করার জন্যে সংবিধানের ৩৪৫ ধারা সংশোধন করে আগামী বিধানসভা এক  প্রস্তাব গ্রহণ করে কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্যে পাঠানো হবে। তবে বরাক উপত্যকায় বাংলা,  বিটি এ ডি তে বোরো,  কার্বিযাঙলং ও ডিমাহাসাও দুই পার্বত্য জেলায় আগের মতো ইংরেজি ভাষা কায়েম থাকবে। বরাক ও তিন অটোনোমাস জেলা ছাড়া বাকি অঞ্চলে ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি বা যেকোনও মাধ্যমের বিদ্যালয়ে ক্লাস টেন একটি ভাষা অসমীয়া কে বাধ্যতামূলক করা হবে। আজ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল এর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট কমিটির এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের কথা অর্থ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান। খিলাঞ্জিয়া বা ভুমিপুত্র রা অ খিলনজিয়াদের কাছে জমি বিক্রি করতে পারবে না,   আবার অ খিলাঞ্জিয়া রা বা বাইরের মানুষ খিলাঞ্জিয়া র জমি কিনতে পারবে না। তা কিনলে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হবে, এই ধরনের এক  কড়া জমি বিল আগামী বিধানসভায় আনা হবে। তবে খিলনজিয়ার সংজ্ঞা নির্ণয়ের পর আইন টি কার্যকরী হবে। মন্ত্রি জানান রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এক সংজ্ঞা নিরুপন করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ১৯৫১ হোক বা ১৯৭১ সাল হোক যখনই আসুক না কেন বাইরের মানুষ জমি কেনা বেচার সুযোগ পাবে না। কেবল খিলনজিয়াদের জন্যে সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া ঐতিহ্য শালী এলাকা, সত্ৰ প্রভৃতি এলাকার জমি কেও কিনতে পারবে না, কিনলে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হবে। এই সংক্রান্ত এক বিল বিধানসভায় আনা হবে। মন্ত্রী কেশব মহন্ত, চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী,  চন্দন ব্রহ্ম কে পাশে নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বজালি কে মহকুমা থেকে জেলাতে উন্নিত করা হবে। পাঠশালা হবে সদর,  সতি সাধনী র জন্মদিন ৭ বৈশাখ এই দিনটি ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হবে। চা জনগোষ্ঠীর যারা আসাম টি করপোরেশনের অধীন কাজ করে তাদের মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। ব্রহ্ম পুত্র উপত্যকায় ১২৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকা  দৈনিক মজুরি এবং বরাক উপত্যকায় ১১৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৪৫ টাকা করা হবে। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকরী হবে। এছাড়া ১০০ দিনের মধ্যে চা বাগান এলাকায় ১০০ টি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে।মরান,  মোটক,  কোচ রাজবংশী তাই আহোম, সনওয়াল কাছারি,  জনগোষ্ঠীর জন্যে ঢালাও সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করেছে সরকার। কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠীর জন্যে অভিবিভক্ত জেলায় এক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। বঙ্গায়গাঁও হবে সদর।


সরকারী সিদ্ধান্তের ভিডিও

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.