Header Ads

বদরপুরে সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আঞ্চলিকতার বেড়া ভেঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের মাধ্যমে সংহতিকে দৃঢ় করতে থাকছে একরাশ অনুষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে রেল শহর বদরপুরে যাত্রা শুরু করেছিল থিয়েটার ওয়ার্কশপ। সেবছরই তাদের উদ্যোগে শুরু হয় সাংস্কৃতিক মেলা। যা পরবর্তীতে নাম পাল্টে হয় সাংস্কৃতিক উৎসব। এবার এই উৎসব কুড়ি বছরে পড়ল। পাঁচ দিনের এই অনুষ্ঠানের সূচনা হবে র‍্যালির মাধ্যমে। 
২৯ তারিখ সকাল ৯টায় রেল কলোনির উৎসবের মাঠ থেকে র‍্যালি বের হয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করবে। এরপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। থাকছে রবীন্দ্র নজরুল লোকগান বাউল সঙ্গীত সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে উৎসব কমিটির সভাপতি সিতাংশু রায় সহ অরুন কুমার সেন এনাম উদ্দিন মহম্মদ শাহজাহান উত্তম দাস সুমনা ব্যানার্জি অরুন কর্মকার এবং রূপক রক্ষিত সহ অন্যান্যরা উৎসব নিয়ে তাদের পুরো পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বদরপুরে রক্তদান শিবিরের প্রথম আয়োজন হয়েছিল থিয়েটার ওয়ার্ক শপের হাত ধরেই। 
প্রতিবার সাংস্কৃতিক উৎসবে নিয়ম করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়। এবারও ব্যতিক্রম নয়। ২ জানুয়ারি থাকছে রক্তদান শিবির। এছাড়া পরিবেশ ও শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচার। শিলচর স্টেশনকে  " ভাষা শহিদ স্টেশন " করা সহ রেল শহরে দিন দিন বাড়তে থাকা বানরের সমস্যা সমাধানে এদের পূনর্বাসন দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা। গণশিক্ষা ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা  জনসমক্ষে তুলে ধরতে নাটকের কোন বিকল্প নেই। তাই নাটককে শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত করার জোরাল দাবিও করেন তাঁরা। স্কুল কলেজ স্তরে সাহিত্য সংস্কৃতি ও শিল্পকলার প্রচার এবং শিক্ষার ব্যবস্থা না করলে সমাজ জীবনে এর প্রভাব ও প্রসার ঘটানো সম্ভব নয় বলে অভিমত দেন তাঁরা। মোবাইল ছেড়ে সাংস্কৃতিক উৎসবে সামিল হতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান উৎসব কমিটির কর্মকর্তারা। এবারও যথারীতি উৎসব চলাকালীন "বহমান" স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.