Header Ads

সিএএ-র প্ৰভাব পড়বে না মুসলমানদের ওপর, আশ্বাস প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীর

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ সংশোধীত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সারা দেশে প্ৰতিবাদে নামছে ছাত্ৰছাত্ৰী, বিভিন্ন সংগঠন সহ অনেকেই। এই আইনের বিরুদ্ধে সুর চরিয়েছেন বিরোধীরাও। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত বিরোধীদের তীব্ৰ আক্ৰমণ করেন মোদি। সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে মোদি আশ্বাস দেন হিন্দু হোক বা মুসলিম দেশের কোনও নাগরিকের জীবনেই এর প্ৰভাব পড়বে না। ‘বৈচিত্ৰ্যের মধ্যে ঐক্যই ভারতের বিশেষত্ব।’দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির নিৰ্বাচনী জনসভায় ভাষণে এই শ্লোগান তুলে ধরেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়। 

 ছবি, সৌঃ এএনআই

দেশের কোনও মুসলমানকে তাড়াতে এই আইন নয়। যে সব শরনাৰ্থী আফগানিস্তান,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধৰ্মের কারণে প্ৰতারিত হয়েছেন এই আইন তাঁদের জন্য। যে সব শরনাৰ্থীরা দীৰ্ঘ বছর ধরে এদেশে রয়েছেন এই আইন তাদের জন্য। রামলীলা ময়দান থেকে একথা সাফ বুঝিয়ে দেন মোদী।
সিএএ এবং এনআরসি-র প্ৰতিবাদে গত কয়েকদিনে দেশের অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। তার সমালোচনা করে তিনি বলেন - মোদির কুশপুতুল পোড়ান কিন্তু দেশের সম্পত্তি পোড়াবেন না। তা নষ্ট করবেন না।
প্ৰসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা ‘সিএএ’ পাশ হয়। তারপর থেকে সারা দেশে বিক্ষোভ, প্ৰতিবাদ শুরু হয়েছে। এই আইনের ফলে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্ৰিস্টান, পাৰ্সি সম্প্ৰদায়ের লোকেরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে বাদ রাখা হয়েছে মুসলিম সম্প্ৰদায়ের মানুষদের। তা নিয়ে প্ৰতিবাদের ঢেউ উঠেছে গোটা দেশে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তাই লক্ষনীয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.