Header Ads

বিধানসভায় ভূমিনীতি নিয়ে আলােচনার দাবীতে সােচ্চার হওয়া সাসপেন্ড হলেন শেরমান আলী


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন
গতকাল বিধানসভায় কংগ্রেসের রূপজ্যোতি কুর্মি হাত কেটে সেই রক্ত দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যার কথা লিখে তা সমাধানের দাবি জানিয়ে হুলস্থুল পরিবেশের সৃষ্টি করেছিলেন। আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরপর্বের শেষে কংগ্রেসের সামসের আলি আহমেদ ভূমি নীতি নিয়ে আলােচনার দাবিতে সােচ্চার হন। তিনি অধ্যক্ষ হীতেন্দ্রনাথ গােস্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করে বিষয়টি নিয়ে আলােচনার দাবি জানাতেই থাকেন। এছাড়াও ভূমি পুত্রের সংজ্ঞা নির্ণয়েরও দাবি জানান। তার এই দাবিকে অন্যান্য কংগ্রেস সদস্যরা সমর্থন করেন। অধ্যক্ষের নির্দেশকে গুরুত্ব না দেওয়ায় অধ্যক্ষ তিন ঘণ্টার জন্য শেরমান আলিকে সাসপেন্ড করেন। সাসপেন্ড করার পরেও একই দাবিতে বিধানসভার প্রবেশ দ্বারে মেঝেতে শুয়ে দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে নিরব প্রতিবাদ করেন। অগপর রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতাও নতুন ভূমিনীতি নিয়ে আলােচনার দাবি জানান। অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ গােস্বামী জানান, ভুমিনীতি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী বিধানসভার অধিবেশন বসবে, সেখানে আলােচনা করা যেতে পারে। পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারি বিরােধীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এই ভূমিনীতি নিয়ে অনেকের দাবি সংযােজিত করা হবে, অনেক কিছুবাদও পরতে পারে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী অধিবেশনে আলােচনা করা যেতে পারে। এআইইউডিএফের আবদুর রহিম আজমল বিধানসভায় অধ্যক্ষকে পেপারলেস অধিবেশনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পরবর্তী অধিবেশনগুলি হবে পেপার লেস।কিন্তু এখন পর্যন্ত সব সদস্যকে কম্পিউটার দেওয়া হয়নি, বিধানসভায় ওয়াই-ফাই জোন নেই। নেট কানেকশন থাকে না। অধ্যক্ষ গােস্বামী এই কথাটি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য বিধায়ককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, পেপারলেস বিধানসভা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই টাকা এখন সদ্ব্যহার করা হয়নি। পর্যায়ক্রমে তা করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.