Header Ads

অসমে পরিবেশ দুষণ নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ


অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি
বিধানসভার জিরাে আওয়ারে কংগ্রেসের রেকিবুদ্দিন আহমেদ এবং অগপর রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা গুয়াহাটি মহানগর সহ রাজ্যে ব্যাপকহারে পরিবেশ দূষণ নিয়ে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। রেকিবুদ্দিন আহমেদ গুয়াহাটি মহানগরের ব্যাপক হারে যানজট, পরিবেশ দূষণে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মহানগরের জলসম্পদ দিপরবিল সহ অন্যান্য বিল সংরক্ষণের অভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে। মহানগরের আশপাশে সাতটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল আছে। তাও যথাযথ সংরক্ষিত হচ্ছেনা। অগপ রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, শৌচাগারের নােংরা জল ব্রহ্মপুত্র নদে মিশে যাচ্ছে। আবর্জনার দুর্গন্ধ শহরকে প্ৰদূষিত করছে। গণেশগুড়ি অঞ্চলের ব্যাপক প্রদূষণের কবলে পড়েছে। বন ও পরিবেশ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে ৭০ বছর পরে বলতে হচ্ছে ঘরে ঘরে শৌচাগারের কথা। ব্যাপকহারে গাছ-গাছালি রােপণ করা হচ্ছেনা। সর্বত্র বালি পাথর তােলা হচ্ছে। তিনি জানান, গুয়াহাটি মহানগরের নয়েজ লেভেলের একক মাইক্রোন নয়, তা প্রকৃতার্থে হবে ই-ডেসিবেল। অসম প্ৰদূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের অধীনে ন্যাশনাল অল এয়ার মনিটরিং প্রােগ্রামের অধীন রাজ্যে ২৩টি স্থানের পরিবেশ নিরীক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও গুয়াহাটির বামুনি মৈদামে অবস্থিত মুখ্য কার্যালয় একটি কন্টিনিউয়াস অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং স্টেশন আছে। এই নিরীক্ষণ কেন্দ্রীয় সমূহ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিমুহূর্তে পরিবেশ পরিস্থিতির সম্পর্কে অবগত করানাে হয়। এইমনিটরিং স্টেশন গুয়াহাটি কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরেও একটি স্থাপন করা হবে। ভারত সরকার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রালয় দেশের ১২২টি শহরের বায়ুর গুণাগুণ ও ন্যূনতম মানদণ্ড পরীক্ষা করছে। তার মধ্যে অসমের শিলচর, গুয়াহাটি, নগাঁও ও শিবসাগরও আছে। ঋতু পরিবর্তণের সঙ্গে সঙ্গে বায়ু পিএম-১০-এর মাত্রার তারতম্য হয়। গত বছর থেকে অসম প্ৰদূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ গুয়াহাটির দিপারবিল সময়ে সময়ে অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাম্বিয়েন্ট নয়েজ লেভেল নিরীক্ষণ করে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.