Header Ads

হায়দরাবাদকাণ্ডে ৪ অভিযুক্ত একইরকম আরও তিনটি পৃথক ঘটনায় জড়িত ছিল বলে অনুমান পুলিশের !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনই একই রকমের পৃথক তিনটি ঘটনায় জড়িত বলে অনুমান করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতে একই ভাবে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় সন্দেহভাজন এই চার অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোর রাতে ঘটনার পুননির্মাণে গিয়ে চারজনকেই এনকাউন্টারে খতম করে তেলাঙ্গানা পুলিশ।  

সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনার বলেন, 'আমরা অভিযুক্তদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমরা আরও সব তথ্য সংগ্রহ করছি। আমরা কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকেও সেই সব ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগ্রহ করা তথ্যের নমুনা চেয়ে পাঠিয়েছি। সেগুলি এলে আমরা নমুনাগুলি পর্যালোচনা করব। এই মুহূর্তে আমাদের অনুমান এরা সবাই এই ঘটনাগুলির সঙ্গে যুক্ত। প্রমাণ হাতে পেলে আমরা এই বিষয়ে জানাব।'
পাশাপাশি তিনি জানান, শুক্রবার অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও ঘড়ি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেখানেই ২৭ নভেম্বর ব্রিজের নীচেই চিকিত্‍সক তরুণীর দেহ ধর্ষণের পর খুন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার ভোরে সেখানেই এনকাউন্টারে মারা যায় চার অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোররাতে সাইবারাবাদ পুলিশ চার অভিযুক্তকে ঘটনার পুননির্মাণ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় ঘটনাস্থলে। সাইবারাবাদ পুলিশ প্রধান ভিসি সজ্জানের দাবি, সেখানেই তারা পুলিশের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে গুলির চেষ্টা করছিল। তাদেরকে বারবার থামার জন্য বলা হলেও তারা থামেনি। এরপর পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয় চার জনেরই। মৃতদের নাম মহম্মদ, জলু শিবা, জলু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশবালু। এদের মধ্যে মহম্মদের বয়স ২৬। বাকিদের বয়স ২০।
সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার ভি সি সজ্জানার বলেন, 'ওদেরকে আমরা জেরা করছিলাম কী ভাবে ঘটনাটি ঘটায় ওরা। হঠাৎ ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়। অভিযুক্তরা আমাদের পাথর ও ধারালো বস্তু ছুঁড়ে মারছিল এবং আমাদের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিতে চাইছিল। তাই পাল্টা গুলি চালাতে হয় আমাদের। তারপর ওরা পালাতে শুরু করে। আমরা ওদের আত্মসমর্পণ করতে বলি। ওরা শোনেনি। কোনও উপায় না দেখে আমরা গুলি চালাই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের।'
তেলাঙ্গানা ধর্ষণকাণ্ডের পুননির্মাণের জন্য কেন ভোররাতেই পুলিশ সামসাবাদের ঘটনাস্থহলে ৪ অভিযুক্তকে নিয়ে গেল? কেন সকালের দিকে তাদের সেখানে নেওয়া হল না? এমন প্রশ্ন বহু মহল থেকেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে। যার জবাবে পুলিশের দাবি, রাজ্য জুড়ে ক্রমাগত অভিযুক্তদের সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি উঠছিল। আর সেই দাবি ঘিরে পুলিশ অভিযুক্তদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.